দেশের খবর: সারাদেশে শীতের তীব্রতায় এমনিতেই জনজীবন বিপর্যস্ত, তার সঙ্গে বৃষ্টি যোগ হয়ে দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। রাজধানীসহ সারাদেশে পৌষের কনকনে ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। শুক্রবার কখনও মুষলধারে, কখনও থেমে থেমে হয়েছে বৃষ্টিপাত। দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলের আকাশ দিনভর ছিল ঘন মেঘ ও কুয়াশায় ঢাকা।
আবহাওয়ার এমন অবস্থা ও ছুটির দিন হওয়ায় লোকজন তেমন একটা বাইরে বের হননি। তবে দিনমজুর, রিকশাচালকসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীদের শীত-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কাজে নামতে হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর আপাতত শীত নিয়ে কোনো সুখবর দিতে পারছে না। বরং শীত আগামী দু’দিনে আরও বাড়বে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
কম্বল আর লেপের নিচে শুয়েই বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ শুনেছে রাজধানীবাসী। ভোরে উঠে দেখেছে ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে চারপাশ। আকাশে সুয্যিমামার দেখা নেই। মেঘে ঢাকা শীতার্ত দিন। রাস্তার ধুলো পরিণত হয়েছে কাদায়। হিমেল বাতাস বইতে থাকায় রাজধানীর সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচলও কিছুটা কম। রাজধানীতে শুক্রবার দিনভর বৃষ্টি না থাকলেও কোথাও দুপুরের দিকে মাঝারি এবং ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে শেষ বিকেলে।
শীত নিয়ে এখনও কোনো সুখবর নেই। আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে, অর্থাৎ এতে শীত কিছুটা বাড়বে। বৃষ্টি একেবারে থেমে গেলে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। শুক্রবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলায় চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে আফতাব উদ্দিন জানান, শৈত্যপ্রবাহের পরিধি কিছুটা বাড়তে পারে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। আগামী পাঁচ দিন শেষের দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি ও শৈত্যপ্রবাহে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। কনকনে শীতের মধ্যে কাজে বের হতে হচ্ছে এসব মানুষকে। এ ছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে এখনও সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র পৌঁছায়নি। শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার আশায় অনেকেই বাড়ি কিংবা ফুটপাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে সময় পার করছেন।