নিজস্ব প্রতিনিধি : পুলিশ পরিচয়ে ২৫লক্ষ টাকা ছিনতায়ের অভিযোগে একাধিক মামলার আসামী শরিফ হাসানুল বান্না সুমনকে আটক করেছে সিআইডি পুলিশ। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাতক্ষীরা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক শেখ মেজবাহ উদ্দীনসহ সঙ্গী ফোর্স সদর উপজেলার হরিশপুর গ্রামের একটি বাগানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। সে সদর উপজেলা হরিশপুর গ্রামের রেজাউল করিমের পুত্র।
পুলিশ জানায়, দেবহাটা উপজেলার আস্কারপুর গ্রামের আসমত উল্লাহর পুর আশরাফুল ইসলাম খোকনের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে গত ১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখ হতে ০৩ দিন ব্যাপি হালখাতা অনুষ্ঠিত হয়। তিনদিন হালাখাতা শেষে হালখাতাটার ২৫লক্ষ টাকা একটি প্লাস্টিকে তার পিতা আসমত উল্লাহ মটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে ৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বস্তার মধ্যে কি আছে তা জানতে চান। এসময় তারা বস্তায় অবৈধ টাকা আছে দাবি করে টাকাগুলো নিয়ে দেবহাটা থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এতে রাজি না হলে তারা পিস্তল বের করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসমত উল্লাহ এবং চাচাতো ভাই মোহাম্মদ আলীকে মটরসাইকেলে তুলে ২৫লক্ষ টাকা ৩টি মোবাইল নিয়ে যায়।
পরে আশরাফুল ইসলাম খোকনসহ কয়েকজন ব্যক্তি দেবহাটায় গিয়ে কাউকে পাননি। পরবর্তীতে খোকনের পিতা আসমতা উল্লাহ ও মোহাম্মাদ আলীকে নির্জন স্থানে মটরসাইকেল থেকে নামিয়ে দিয়ে টাকা ও সিম চলে যায়। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোজ খবর নিয়ে তারা জানতে পারে উল্লেখিত ব্যক্তিরা পুলিশ না। এঘটনায় ৫ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে দেবহাটায় অজ্ঞাত ৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করেন। যার নং-০১, তাং- ০৪ জানুয়ারি২০১৫। এঘটনায় দেবহাটা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মান্নান গাজীর বাড়ীতে থেকে লুণ্ঠিত ৩ মোবাইলসহ ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ২টি মটরসাইকেল জব্দ করেন। সে সময় পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে শরিফ হাসানুল বান্না সুমন পালিয়ে যায়। পরে মামলাটি সিআইডির হাতে আসে।
পুলিশ আরো জানায়, শরিফ হাসানুল বান্না সুমন পুলিশ না হয়েও পুলিশের পোশাক পরিধান করে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল। তার বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানাগেছে।