বিদেশের খবর: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের পরিদর্শনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দিল্লির ভজনপুর এলাকায় নতুন করে সহিংসতা হয়েছে। বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে শুরু হওয়া এই হিন্দুত্ববাদী তাণ্ডবে গত চারদিনে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আর আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। কয়েক দফা পর্যালোচনামূলক বৈঠক করেও সহিংসতা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিকে বুধবার দিল্লি পুলিশকে কড়া ভাষায় সতর্ক করেছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।
বিতর্কিত সিএএ আইন ইস্যুতে গত রবিবার থেকে দিল্লির পূর্ব অংশে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন সহিংসতা। দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের উসকানির পর শুরু হয় হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডব। এরও আগে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরসহ বিজেপির বিভিন্ন নেতা।
ঘৃণাবাদী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে বুধবার দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি এস মুরালিধর বলেন, আরেকটি ১৯৮৪-এর মতো পরিস্থিতি ঘটতে দিতে পারেন না আদালত। উসকানিমূলক বক্তব্যের ভিডিও পর্যালোচনা করে বৃহস্পতিবারের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কমিশনার আমুলিয়া পাটনায়েককে নির্দেশ দেন তিনি।
এর আগে বুধবার সকালে নতুন করে দিল্লির উত্তর-পূর্ব অংশে সহিংসতা শুরু হয়। পাল্টাপাল্টি পাথর নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভজনপুরে একটি ব্যাটারির দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এদিন নিহতদের মধ্যে রয়েছেন অঙ্কিত শর্মা নামে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তাকে জাফরাবাদ এলাকার একটি ড্রেনে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮টি মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। এসব মামলায় ১০৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দাবি, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।