অর্থনীতি ডেস্ক: ভারতে গেলো ওয়ালটনের তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনার।
ওরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার হিসেবে বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডকে এসিসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে দিচ্ছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত আইওটি বেজড স্মার্ট এবং ইনভার্টার এসি গেলো ভারতে। এসব এসি ভারতের বাজারে বিক্রি হবে।
রোববার (১ মার্চ) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতে এসি রপ্তানি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম নূরুল আলম রেজভী, ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম আশরাফুল আলম, পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম, এস এম রেজাউল আলম, এস এম মঞ্জুরুল আলম, তাহমিনা আফরোজ তান্না, রাইসা সিগমা হিমা এবং রিফাহ তাসনিয়া স্বর্ণা প্রমুখ।
ওয়ালটন এসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. তানভীর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মতো বিশ্ববাজারেও শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে ওয়ালটন। এ লক্ষ্যে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও ইউরোপের মতো সম্ভবনাময় বাজারগুলোতে রপ্তানি কার্যক্রম সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেজন্য অঞ্চল ভিত্তিক স্বনামধন্য ও বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে গড়ে তোলা হচ্ছে কৌশলগত অংশীদারীত্বের সম্পর্ক। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে ওয়ালটনের তৈরি এসি ভারতের বাজারে বিক্রি করতে বেশ কয়েকটি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।
ওরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার (ওইএম) হিসেবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ২২ হাজার ইউনিট ইনভার্টার এবং স্মার্ট ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনার ভারত পাঠাচ্ছে ওয়ালটন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশ্বের খ্যাতনামা ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে ওয়ালটনের ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব স্থাপন বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স এবং প্রযুক্তিপণ্য শিল্পখাতের জন্য মাইলফলক। এর মাধ্যমে বহিঃবির্শ্বে বাংলাদেশে তৈরি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ কার্যক্রম জোর গতি পেয়েছে। ভারতের পাশাপাশি ইউরোপ, আমেরিকা, ভারত, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অনেকগুলো ব্র্যান্ডের সঙ্গে ওয়ালটনের কাজ চলছে। পাশাপাশি এসব দেশে জোরেসোরে চলছে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস কার্যক্রম।
ওয়ালটন এসির চিফ টেকনিক্যাল অফিসার (সিটিও) ওয়াল্টার কিম বলেন, ওয়ালটনের রয়েছে দেশ-বিদেশের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে পরিচালিত নিজস্ব আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) টিম।
বিশ্বের যেকোনো দেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও আবহাওয়া উপযোগী এসি তৈরিতে সক্ষম ওয়ালটন। আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রেতা চাহিদা অনুযায়ী এসি সরবরাহে প্রস্তুত ওয়ালটন। বাংলাদেশে ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, মেশিনারিজ, আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ ও কাঁচামালে তৈরি এসব এসির শতভাগ আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে কাঁচামাল থেকে শুরু করে উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
তিনি জানান, ওয়ালটনের আর অ্যান্ড ডি টিমের নিরলস গবেষণায়, ভয়েস কমান্ড, থার্ড আই, ফ্রস্ট ক্লিন এবং ই-রিপিলার প্রযুক্তির এসি তৈরি হচ্ছে। খুব শিগগিরই এ প্রযুক্তির এসি বাজারে আসবে।
জানা গেছে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য ওয়ালটন তৈরি করছে আইওটি বেজড ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী স্মার্ট ও ইনভার্টার এসি। এসব এসিতে ব্যবহৃত ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসর বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। কম্প্রেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর৪১০এ এবং আর৩২ রেফ্রিজারেন্ট। রয়েছে টার্বোমুড ও আয়োনাইজার প্রযুক্তি, যা দ্রুত ঠাণ্ডা করার পাশাপাশি রুমের বাতাসকে ধুলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত করে। কন্ডেন্সারে ব্যবহার করা হচ্ছে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি। ফলে ওয়ালটন এসি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী। ওয়ালটনের স্মার্ট এসি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।