এসএম বাচ্চু, তালা প্রতিনিধি: তালা উপজেলার উপ সড়ক-মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অনুমোদনবিহিন নছিমন, করিমন, ট্রলি, ইজিবাইক।ইতিমধ্য থানা প্রশাসনের উদ্যেগে উপজেলা বিভিন্ন স্থানে এসব অবৈধ যানবহন নিয়ন্ত্রণ বন্ধের জন্য মাইকিং করেও হচ্ছে না তার কোন প্রতিকার। প্রতিকার না হওয়ার কারনে ইতিমধ্য উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে শিশুসহ ১১ জনের অধিক নিহত হয়েছেন এই ফেব্রুয়ারী মাসেই। আর আহত হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বসবাস করছেন ২০ জনের অধিক অসহায় মানুষ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলার চন্ডীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র প্রীতম মায়ের হাত ধরে বাড়ি ফেরার পথে ব্যাটারিচালিত ভ্যানের ধাক্কায় নিহত হন। ১৮ ফেব্রুয়ারী শ্রীমন্তকাটি গ্রামের সানরাইজ প্রি ক্যাডেট স্কুলে ছাত্রী মোহন পাল(৭) স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইজিবাইকের ধাক্কায় নিহত হয়। ২৯ ফেব্রুয়ারী সকালে তালার বালিয়া টিআরএম ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় গনেষ ঘোষ (৫০) নামের এক কৃষক ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন। মীর্জাপুরে গরবাহী ট্রলি উল্টে নুরুল (৪০) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারী দুপরে ডাচ ব্যাংকের ম্যানেজার নগরঘাটায় সামছুর রহমান সানা (৪০)সড়ক দুঘর্টনায় নিহত হয়। এদিকে ১১ ফেব্রুয়ারী তালা ব্রীজের সামনে ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে নাছির (১২) নামের এক ছাত্র আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাজ্ঞা লড়ছেন। ফেব্রুয়ারীর প্রথম দিকে শাওন (১০) নামের মুড়াগাছা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শেণীর ছাত্র ট্রলি চাপায় এখনও পর্যন্ত হাতপাতালে বিছানায় কাতরাচ্ছে। এভাবেই উপজেলার সর্বত্র জুড়ে চলচ্ছে মৃত্যু আর মৃত্যুর সাথে পাজ্ঞা নেওয়ার মিছিল।
এত দুঘর্টনা ঘটা সত্বেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সরকারের সকল আইন অমান্য করে উপজেলার মির্জাপুরে গড়ে উঠেছে অবৈধ যানবহন তৈরীর কারখানা । খুলনা -সাতক্ষীলা সড়কের মৃজাপুর বাজারের উপরেই বিশাল জায়গা জুড়ে ১০/১২ টি কারখানায় রাতদিন তৈরী হচ্ছে নছিমন, করিমন, ট্র্রলি, ব্যাটারী ভ্যান সহ পাওয়ার টিলারে বগি লাগিয়ে মিনি ট্রাক। বিষয়টি দেখাও যেন দেখার কেউ নেই !
সরজমিনে মীর্জাপুর বাজারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানা মালিকা জানান আমরা মাসে মাসে টাকা দিয়ে কারখানা চালাচ্ছি।
এদিকে, মাত্র এক মাসে শিশু সহ পাঁচ জনের মৃত্যুসহ প্রায় ২০ জনের অধিক লোক সড়ক দুঘর্টনায় আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাজ্ঞা লড়ার কারনে উপজেলা সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ।