ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক : পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ তিনি। জীবনসঙ্গীনি হিসেবেও বেছে নিলেন রাজপথের সৈনিককে। রাজনৈতিক পরিচয় গড়ালো প্রণয়ে, এরপর ঘর বাঁধা।
বর হলেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এবং কনে আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি। শুক্রবার রাতে দেলোয়ারের ভাইয়ের ধানমন্ডির বাসায় এই দুই জনের বিয়ে হয়। ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে এই বিয়ে পড়ানো হয়।
বিয়ের এই অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের সদস্যরা ছাড়া ছিলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী মারুফা আক্তার পপি, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী, প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন, ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ।
দেলোয়ার জানিয়েছেন, বিয়েটা ঘরোয়া পরিবেশে হলেও বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় সবাইকেই দাওয়াত করা হবে।
দুই জনই ক্ষমতাসীন দলে পরিচিত মুখ। তবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় ধুমধাম রাখেননি দেলোয়ার-লিলি। দুই পরিবারের স্বজন আর ঘনিষ্ঠ পরিচিতজনরাই উপস্থিত ছিলেন এ সময়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা’ সূর্যসেন হলের ছাত্র দেলোয়ার হোসেন ঢকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রথমে সাংগঠনিক পরে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। সে সময় তিনি জোট সরকারের নির্মম নির্যাতনের শিকারহন। গত অক্টোবরের ২০ তম জাতীয় সম্মেলনে দেলোয়ার পান বড় দায়িত্ব। আ.লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
অন্যদিকে কনে শারমিন সুলতানা লিলিরও রাজনৈতিক জীবনের শুরু ছাত্রলীগ দিয়েই। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কমিটির সভাপতি ছিলেন দেলোয়ার, সেই কমিটিতে ছিলেন লিলিও। তিনি তখন রোকেয়া হল শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরে ছাত্রলীগের বদিউজ্জামান সোহাগ ও সিদ্দিকী নাজমুল আলমের কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
ছাত্রজীবন শেষে ছাত্রলীগ ছেড়ে যুবলীগে যোগ দেন লিলি। ছাত্র সংগঠনের মতই যুব সংগঠনেও দক্ষতার পরিচয় দেন তিনি। দায়িত্ব পান সহ-সম্পাদকের।
এই দুই রাজনীতিককে প্রণয়ে বাঁধতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি। তার মধ্যস্ততাতেই দুই জনের বিয়ে হয় বলে নিশ্চিত করেছেন তার ঘনিষ্ঠজনরা।
দেলোয়ারের ঘনিষ্ঠরা জানান, গত ১২ এপ্রিল দেলোয়ার ও লিলি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। দলীয় সভাপতি উৎফুল্ল হয়ে তাদেরকে উৎসাহ দেন। সেই সঙ্গে জানান শুভ কামনা।
বিয়ে নিয়ে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সব কৃতিত্ব পপি আপার। আপাই আমাদেরকে এক করেছেন। আশা করি আমরা দাম্পত্য জীবনে সুখি হব।’