তালা প্রতিনিধি : বিশ্বের সকল দেশের ন্যায় বাংলাদেশও যখন ভাইরাস করোনা(কোভিড-১৯) নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ঠিক তখনি সাতক্ষীরা তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইকবাল হোসেন ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র সেনের নির্দেশক্রমে ইউপি সদস্য সজ্ঞয় কুমার দে সার্বিক তত্বাবধানে ঘরে থাকুন নিরাপদ থাকুন,বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বাহিরে বের না হয় স্লেগানকে সামনে রেখে ৮নং ওয়ার্ডে গ্রাম প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থাপনা কমিটি গঠন করে নিরলাস ভাবে সাধারন মানুষদের সচেতন, জীবানু নাশক স্প্রে সহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতের রাস্তা গুলো লক ডাউন করা সহ বিভিন্ন প্রকারে সমাজিক সচেতনা মুলক কাজ করে চলেছেন এলাকার যুবকরা ।
সরেজমিনে গিয়ে দেথা যায়,উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের ৮ ওয়ার্ড(গোপালপুর,উথালী,চাদপুর) গ্রাম গুলো এলাকার যুবকরা একটি গ্রাম প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থাপনা কমিটি করেছেন । ইউপি সদস্য সজ্ঞয় কুমার দে সার্বিক তত্বাবধানে সভাপতি দিবস দত্ত, সহ-সভাপতিঃজুয়েল দত্ত,সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত ভদ্র,যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত হোড়, নিত্যনন্দ নন্দী ,সাংগঠনিক সম্পাদক সুমিত হালদার,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন দে,স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক গ্রাম ডা:মিঠুন কুমার হালদার, প্রচার সম্পাদক অঞ্জন হরি,সহ-প্রচার সম্পাদক সুমন মজুমদার,ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সেন,সহ-ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক অমিত বিশ্বাস সহ সংগঠনের ৫২জন সদস্যরা এলাকার ৮টি যাতায়াতের রাস্তা মুখে বাঁশ দিয়ে আটকিয়ে দিয়ে লক ডাউন করা সহ এলাকার সকল বাড়িতে গিয়ে জীবনু নাশক স্প্রে,সাধারণ মানুষদের সচেতন হওয়ার জন্য ও বাহির থেকে আসা লোকজনদের বাড়িতে ১৪দিন হোম কোয়ান্টিশনে থাকার পরামর্শ প্রদান করা, সরকারী ও বে-সরকারী ভাবে প্রেরিত প্রনোদনা অসহায়,দুস্থ,মানুষের বাড়িতে পৌছে দেওয়া সহ নিরলস ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন কমিটির সকল নেতৃবৃন্দরা ।
এবিষয়ে কমিটির স¦াস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক গ্রাম ডা:মিঠুন কুমার হালদার বলেন , বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্ব একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশে কোভিড -১৯ তথা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বাংলাদেশের সকল এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এর জন্য সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত চলাফেরায় কঠিন হুশিয়ারি দিয়েছেন। সরকারের পাশাপাশি, ব্যক্তিগত ,বেসরকারী সংস্থা, বিভিন্ন সংগঠন করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রতিজ্ঞা বদ্ধ।এই রকম একটি সংগঠন গ্রাম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা কমিটি সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য মানুষ কে সচেতন করা, জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো, প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে সচেতনতা মূলক বক্তব্য উপস্থাপন করা, অন্য জেলা থেকে আসা মানুষদের হোম করেন্টাইননে রাখা। মেইন রাস্তার মোড়ে, জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো সহ বিভিন্ন ধরনের সচেতনতা মূলক কাজ করছেন এই সংগঠনটি।আমি গ্রাম ডা: হওয়ার সুবাদে এলাকার সাধারণ মানুষদের চিকিৎসা বিষয়ে সংগঠন ও ব্যাক্তিগত উদ্যেগে মাস্ক্র বিতারন সচেতনা মুলক পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছি ।
পূর্ববর্তী পোস্ট