অনলাইন ডেস্ক : দেশে নতুন করে ২ হাজার ৯০৭ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া এই রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১০ আগস্ট) করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি পিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ৮৫৫টি এবং পরীক্ষা হয়েছে ১২ হাজার ৮৪৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ৭৩ হাজার ১৬৮টি। ২৪ ঘণ্টায় যা নমুনা সংগ্রহ হয়েছে, তাতে করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৯০৭ জনের মধ্যে। ফলে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৯ জন এবং এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন তিন হাজার ৪৩৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৬৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৪৩৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৫ জন এবং নারী চারজন। মোট মৃতদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৭২১ জন (৭৯ দশমিক ১৪ শতাংশ) এবং নারী ৭১৭ জন (২০ দশমিক ৮৬ শতাংশ)।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১০ বছরের কম বয়সী একজন, ২০ বছরের বেশি বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১০ জন, ষাটোর্ধ্ব ১৩ জন, সত্তরোর্ধ্ব ছয়জন ও ৮০ বছরের বেশি বয়সী চারজন ছিলেন।
ঢাকা বিভাগের ছিলেন ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের সাতজন, খুলনা বিভাগের ছয়জন, রাজশাহী বিভাগের আটজন, ময়মনসিংহ বিভাগের তিনজন, রংপুর বিভাগের একজন এবং বরিশাল বিভাগের দুইজন ছিলেন।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর গোটা বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস। এতে আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা সাত লাখ ৩৪ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ রোগীর সংখ্যা এক কোটি ২৯ লাখ ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর এতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।