ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম ধাপে এগিয়ে থাকা এম্যানুয়েল মাক্রোঁ ‘ভয়াবহ হ্যাকিং আক্রমণের’ শিকার হয়েছে বলে দাবি করেছে তার দল। অনলাইনে বড় ধরনের তথ্য ফাঁসের পর এমন অভিযোগ করে ।
মাক্রোঁর নির্বাচন পরিচালনা কমিটি বলেছে যে, জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্যই আসল নথির সাথে ভূয়া নথি মিলিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচনে তাকে পরাজিত করতেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
প্রচারাভিযানের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় তথ্যগুলো অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এর ফলে বাধ্যবাধকতার কারণে মাক্রোঁ কোন অভিযোগ করতে পারবেন না বলে বিবিসি জানিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ক্যারীবিয়ানে ব্যাংক একাউন্ট থাকার অভিযোগে গুজব ছড়ানোয় মামলা করেছেন এম্যানুয়েল মাক্রোঁ।
হ্যাকিংয়ের এই ঘটনাকে ব্যাপক ও সমন্বিত আক্রমণ উল্লেখ করে ম্যাক্রনের রাজনৈতিক আন্দোলন এন মার্স বলছে, যেসব তথ্য হ্যাক করা হয়েছে সেগুলোতে অভ্যন্তরীণ প্রচারাভিযানের অনেক তথ্য, ই-মেইল ও আর্থিক তথ্য রয়েছে।
মাক্রোঁ দলের বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েক সপ্তাহ আগে তার দলের অফিসিয়াল কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাদার ইমেইল হ্যাক করে এসব তথ্য নেওয়া হয়। হ্যাকিংয়ের পর অজ্ঞাতনামা একাউন্ট থেকে প্রায় নয় গিগাবাইট তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করা হয়।
যদিও তথ্য হ্যাকিংয়ের জন্য এম্যানুয়েল মাক্রোঁ কাউকে দায়ী করেননি। তবে এই ঘটনা ফ্রান্সের গণতন্ত্রকে ব্যাহত করবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এই হ্যাকিংয়ের ঘটনাকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের ই-মেইল হ্যাকিংয়ের সাথে তুলনা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্টের ওই ঘটনার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা হয়েছিল।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে আগামী ৭ মে দ্বিতীয় দফায় ‘রানঅফ’ ভোটের জন্য লড়বেন কট্টর ডানপন্থি প্রার্থী মারিন লা পেন এবং ৩৯ বছর বয়সী এম্যানুয়েল মাক্রোঁ।
যদিও আগামী নির্বাচনে ৩৯ বছর বয়সী এম্যানুয়েল মাক্রোঁকে এখনো পর্যন্ত নির্বাচনে ফেবারিট ধরা হচ্ছে, তবুও লা পেন বলেছেন ‘আমরা জিততে পারবো, আমরাই জিতবো।’
তবে জনমত জরিপে এখনো বেশ এগিয়ে আছে মাক্রোঁ। ৭ মে নির্বাচনের আগে ২৫ এপ্রিল করা এক জনমত জরিপ বলছে, মাক্রোঁ ৬২% এবং লা পেন মাত্র ৩৮% ভোট পেয়েছেন।