নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী এম এ জলিল এর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় সাতক্ষীরা মুনজিতপুরস্থ হোসেন মার্কেটের তৃতীয় তলায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি।
ঈষিকা পরিবারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, সুধাংশু শেখর সরকার, কল্যাণ ব্যানার্জি, উপাধ্যক্ষ সাবীর হোসেন, এড. আজাদ হোসেন বেলাল, আনোয়ার জাহিদ তপন, শেখ হারুন উর রশিদ, এড. ওসমান গণি, ইয়াহিয়া ইকবাল, উপাধ্যক্ষ ময়নুল হাসান, স্বপন কুমার শীল, শুভ্র আহমেদ, রেফাজুর রহমান বিমান, শেখ মোশফিকুর রহমান মিল্টন, স ম তুহিন, অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, প্রয়াত এম এ জলিলের পুত্র পাভেল রহমান, আবু আফফান রোজ বাবু, শামীমা পারভীন রতœা, মফিজুল হক জাহাঙ্গীর, জাহিদা জাহান মৌ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম।
স্মরণসভার শুরুতে সাতক্ষীরার বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রোজ বাবুর মায়াবী কণ্ঠে ভেসে আসে “ তোমার সমাধী ফুলে ফুলে ঢাকা, কে বলে তুমি নাই, তুমি আছো মন বলে তাই”। পরে প্রয়াত জলিলের স্মৃতি চারণ করে বক্তব্য রাখেন তার সহপাঠী এবং শুভাকাঙ্খিরা।
এসময় বক্তারা বলেন, এম এ জলিল একজন ব্যক্তি ছিলেন না। এম এ জলিল মানে একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সংগঠনের নাম। তিনি সকল মানুষকে খুবই সহজে আপন করে নিতে পারতেন। তার কাছে ছোট বড় সকলেই সমান মূল্যায়িত হত। তার উপর যতই রাগ হোক না কেন তার মিষ্টি কথায় সকল রাগ অভিমান ভুলে হাসতে হাসতে বিদায় নিতেন। এম এ জলিল তার সৃষ্টিশীল কর্মের মধ্যে আজীবন বেঁচে থাকবেন। তিনি আজীবন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবিচল ছিলেন। মুক্তবুদ্ধির মানুষ ছিলেন। এম এ জলিল প্রতিষ্ঠিত ঈষিকা সাতক্ষীরার প্রগতিশীল রাজনীতির সুতিকাগার হিসেবে পরিচিত। তার মত শিল্পী আর সাতক্ষীরায় তৈরি হবে কি না সেটি জানা নেই। তবে তার কর্মের উপর তিনি আজীবন সাতক্ষীরাবাসীর হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। এছাড়া তার রেখে যাওয়া কর্মের প্রদর্শনীর উদ্দেশ্যে জলিল মেলা করার আহ্বান জানান বক্তারা।
পূর্ববর্তী পোস্ট