নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) এড. আব্দুল লতিফের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে রোববার সকাল ১০টায় জজকোর্টের সামনে শহীদ মিনারের পাদদেশে উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং সাবেক অতিরিক্ত পিপি এড. আজহার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, এড. জেড আই আব্দুল্লাহ আল মামুন, এড. রফিকুল ইসলাম, এড. আবু রায়হান , এড. সাহেদুজ্জামান সাহেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০১৯ সালের ১২ ফ্রেব্র“য়ারি এড. আব্দুল লতিফ একজন সাংসদকে ম্যানেজ করেই সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকে আসামেিদর জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ দূর্ণীতি শুরু হয়। তিনি অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার আসামী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অভিযোগে সাবেক পিপি অ্যাড. ওসমান গণির বহি®কৃত অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. জিল্লুর রহমানকে (২) পুরষ্কার স্বরুপ অতিরিক্ত পিপি হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া অ্যাড. ওসমান গণি পিপি থাকাকালীন সহকারি পিপি আশাশুনির মিজানুর রহমানকে চট্ট্রগ্রামে ছাত্র শিবির করার দায়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরখাস্ত করা হয়। অথচ সেই মিজানুর রহমানকে পিপি অ্যাড. লতিফ সহকারি পিপি বানিয়েছেন আর্থিক সুবিধা নিয়ে। অ্যাড. আজাহারুল ইসলাম, অ্যাড. রফিকুল ইসলাম ও অ্যাড. সায়েদুজ্জামানসহ কয়েকজনকে পিপি শিপ থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে প্রতিবাদ করলে আব্দুল লতিফ তাদের নাম নতুন তালিকায় আনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে ম্যানেজ করার জন্য মাথাপিছু এক লাখ টাকা করে দাবি করেন। পরে ১৫ জনের কাছ থেকে মাথা পিছু ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা করে নিয়ে করোনা পরিস্থিতির অজুহাত দেখিয়ে কালক্ষেপন করেছেন। পরে কাজও হবে না এবং টাকাও ফেরৎ পাবে না বলে হেঁকে দেন।
বিডিআরের চাকুরি করাকালিন কিভাবে লতিফ আইনজীবীর সার্টিফিকেট যোগাড় করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এর প্রাণসায়ের সুলতানপুর শাখায় ডাকাতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের পিপি হিসেবে ৪৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ম্যাজিষ্ট্রেটসহ গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের ক্লোজ করে চারজনের সাক্ষী নিয়ে আসামীদের খালাস করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে মোটা অংকের টাকা নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সদরের কুশখালির রেবেকা খাতুনের আপোষ তালাকের পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে বড় অংশ আত্মসাতের অভিযোগে মধ্যস্ততাকারি লতিফের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৬ ফেব্র“য়ারি সিআরপি ২০৯/১৫ নং মামলা করেন রেবেকা।
এব্যাপারে রোববার বিকাল সাড়ে চারটায় মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) এ্যডভোকেট আব্দুল লতিফ সাংবাদিকদের জানান, এ্যাড. আজাহার হোসেনসহ ৫/৬ জন ব্যক্তি আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এহেন কাজ করেছে। আমি দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছি।