মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) পরিচালক জেমস কোমিকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আজ এফবিআই পরিচালক জেমস কোমিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তাকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং কার্যালয় থেকে অপসারণ করা হয়েছে।’ মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসের পরামর্শক্রমে জেমস কোমিকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। তবে তার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, তা এখনই জানানো হয়নি।
এফবিআই পরিচালক হিসেবে জেমস কোমি সর্বশেষ অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণার সঙ্গে রাশিয়ার কোনও যোগসূত্র ছিল কিনা, তা নিয়ে একটি তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ওই নির্বাচনে দুই বার হস্তক্ষেপ করেছেন জেমস কোমি। নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালে প্রথমে জুলাই মাসে ও পরে অক্টোবর মাসে তিনি নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভারের কেলেঙ্কারি বিষয়ে এফবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে কথা বলেছিলেন। এর মধ্যে নির্বাচনের মাত্র ১০ দিন আগে ২৮ অক্টোবর জেমস কোমি ঘোষণা দেন, হিলারির ওই ইমেইলে কেলেঙ্কারি নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করছে এফবিআই। জেমস কোমির এই ঘোষণার পর জনমত জরিপগুলোতে হিলারির জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে। পরে নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে ৬ নভেম্বর জেমস কোমি আবারও বলেন, নতুন করে পাওয়া ইমেইলগুলো পর্যালোচনা করে তারা হিলারির বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলার মতো উপাদান খুঁজে পায়নি। এই ঘোষণার পর জনপ্রিয়তায় হিলারি খানিকটা এগিয়ে গেলেও নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত তিনি জয়ী হতে পারেননি। নির্বাচনি পরাজয়ের পেছনে জেমস কোমির এই ভূমিকাকেও হিলারি ক্লিনটন দায়ী করেছেন একাধিকবার।
এদিকে, মঙ্গলবারই জানা গেছে যে হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার বিষয়ে কংগ্রেসের কাছে অসত্য তথ্য দিয়েছিলেন জেমস কোমি। তবে এফবিআই পরিচালক হিসেবে জেমস কোমির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই তাকে বরখাস্ত করেছেন ট্রাম্প। জেমস কোমির কাছে লেখা চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আপনি এই গোয়েন্দা সংস্থাকে যথার্থভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সক্ষমতা রাখেন না।’
পূর্ববর্তী পোস্ট