নিজস্ব প্রতিনিধি : আমার বাড়ি ঘর থাকতেও আমি দেড় বছর ধরে বাড়ি ছাড়া। বাড়িতে গেলেই ধারালো ছুরি দেখিয়ে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করা হয়। দুই ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে বিদেশে থাকে। কিন্তু তারপরও অন্যের বাড়ির বারান্দায় কাটে এখন আমার জীবন। কান্না জড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেন সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের কামারবয়সা গ্রামের মৃত. কওছার আলীর স্ত্রী বৃদ্ধা জরিনা খাতুন।
বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এধরনের অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।
ষাটোর্দ্ধ বৃদ্ধা জরিনা খাতুন বলেন, আমার ছোট ছেলে আলমগীর হোসেন বিদেশে কাজ করে। বড় ছেলে অন্যত্র স্ত্রী সন্তান নিয়ে থাকে। স্বামীর ভিটেই একাই বসবাস করি। কিন্তু সম্প্রতি একই এলাকার রফিকুল ইসলামের কন্যা রেকসানা খাতুন নিজেকে আমার প্রবাসী পুত্র আলমগীরকে নিজের স্বামী দাবি করে বাড়িতে ওঠার চেষ্টা করেন। এতে আমি বাধা দিতে গেলে তার পিতা রফিকুলসহ কয়েকজন আমাকে মারপিট করে। এঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ উভয়পক্ষকে ডেকে রেকসানাকে বিয়ের স্বপক্ষে প্রমান দেখাতে বললে সে কোন প্রমান দেখাতে পারেনি। এরপর বাড়ি গিয়ে আমাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এবিষয়ে আমার পুত্র আলমগীরের সাথে কথা বললে রেকসানার সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই মর্মে জানায়। অথচ অনলাইনে বিবাহ হয়ে মর্মে দাবি করে ওই রেকসানা ও তার পিতা আমার বাড়ী দখল করে রেখেছে। এদিকে আমাকে বাড়িতে তুলে দেওয়ার শর্তে টাকা দাবি করে আসছে কামারবায়সা গ্রামের আব্দুল লতিফের পুত্র রাসেল। টাকা না দেওয়ায় বাড়িতে উঠতেও সহযোগিতা করছেন রাসেল। ভুক্তভোগী বৃদ্ধা জরিনা খাতুন নিজের বাড়িতে উঠতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।