বিশেষ ডেস্ক : নদী দখল ও দূষণের শাস্তি কঠোর করছে সরকার। একইসঙ্গে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ক্ষমতাও বাড়ানো হচ্ছে। নতুন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আইন, ২০২০’ এর খসড়া করেছে কমিশন।
খসড়া আইনে নদীর দখল ও দূষণের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ২০১৩ সালের নদী রক্ষা কমিশন আইনে এই ধরনের অপরাধের জন্য কোনো শাস্তি নির্ধারিত ছিল না।
আগের আইন অনুযায়ী, নদী দূষণ ও দখল রোধে সুপারিশ করা ছাড়া নদী রক্ষা কমিশনের কোনো কাজ নেই। নতুন আইন অনুযায়ী, কমিশন নদী দখল ও দূষণ রোধ এবং নদীর উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেবে। এই নির্দেশনা মানতে সংস্থাগুলো বাধ্য থাকবে। সংস্থাগুলো তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে কমিশন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
খসড়া আইনে নদী সংক্রান্ত অপরাধের বিচারের জন্য ‘নদী রক্ষা কোর্ট’ গঠনের বিধান রাখা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের মতামত নেয়ার পর চলতি মাসের মধ্যে খসড়া আইনটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন নদী রক্ষা কমিশনের কর্মকর্তারা।
খসড়া আইনটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ১৪টি অধ্যায়ে ধারা রয়েছে ১০৮টি। এছাড়া শাস্তি সংক্রান্ত তিনটি তফসিল রয়েছে। বর্তমান আইনে চারটি অধ্যায়ে ২১টি ধারা রয়েছে।
নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান (সচিব) মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘বর্তমান আইনে কমিশনের ১৩টি কার্যাবলীর কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে নদীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ-পরিবীক্ষণ করে আমরা সুপারিশ করব। উন্নয়ন করতে হলে সুপারিশ করতে হবে। অ্যাকশন অরিয়েন্টেড কোনো কাজ নেই আমাদের। ইতোমধ্যে আদালত দুটি আদেশ দিয়েছেন- তারা আমাদের ইতোমধ্যে নদীর অভিভাবক নির্ধারণ করে দিয়েছেন। উন্নয়নসহ নদী রক্ষায় কমিশন সব কাজ করতে বাধ্য বলেও আদালত আদেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের আদেশই চূড়ান্ত, আইনে না থাকলেও আইনের মতোই গণ্য করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আদালত দেখেছেন আমরা গত কয়েক বছরে নদী রক্ষায় যেসব সুপারিশ দিয়েছি সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো তা ফেলে রেখেছে, তারা কোনো কাজ করেনি। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি নদী রক্ষা কমিশন আইনে না থাকলেও অন্যান্য আইনে নদীর দখল-দূষণের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান আছে। সেটা না নেয়ায় নদী দখল ও দূষণ বন্ধ হচ্ছে না। আমরা মাঠে গিয়ে তাদের (সংশ্লিষ্ট সংস্থা) সঙ্গে নিয়ে কিছু কাজ করাতে পেরেছি।’
‘এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ৫৮ হাজার নদী দখলদার ও দূষণকারীর তালিকা প্রকাশ করেছি। এরমধ্যে ১৯ হাজারের মতো দখলদার উচ্ছেদ করেছি। আমরা ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে এই কাজগুলো করেছি, কিন্তু আইনে তো সেটা নেই। আইনের বলে আমরা সেটা করতে পারছি না।’
কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাহী ক্ষমতা পুরোটা আমরা ব্যবহার করব, আমরা এটা চাই না। আমরা কারও ক্ষমতা নিতেও চাইছি না। আমরা চাইছি যে, নদীর দখল-দূষণ রোধে সংস্থাগুলোকে যেমন- বিআইডব্লিউটিএ, পরিবেশ অধিদফতর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্যদের যে ক্ষমতা দেয়া আছে সেটার ব্যবহার তারা করুক। যদি সেটা তারা না করে তবে তাদের জবাবদিহি করতে হবে কমিশনের কাছে। তাদের যুক্তি গ্রহণযোগ্য না হলে তখন আমরা আমাদের ক্ষমতা ব্যবহার করব, কারণ নদীকে তো রক্ষা করতেই হবে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করে দেব। নদী রক্ষায় কমিশনকে সংস্থাগুলো যে কোনো সহযোগিতা দিতে বাধ্য থাকবে। এসব বিষয়ই আইনের খসড়ায় থাকছে।’
বর্তমান কমিশন আইনে নদী দখল ও দূষণকারীদের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট শাস্তির কথা নেই জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, ‘তবে দণ্ডবিধিতে নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করার শাস্তির কথা আছে। পরিবেশ আইনেও নদী দখল-দূষণের বিষয়ে শাস্তির বিধান আছে। পানি আইনেও নদী সংক্রান্ত অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু নদীর ক্ষেত্রে এই আইনগুলোর বাস্তবায়ন তারা করেনি। নদী দখল ও দূষণের জন্য কাউকে কারাদণ্ড পেতে হয়নি। শুধু কিছু জরিমানা করা হয়েছে।’
‘নতুন কমিশন আইনে ওই আইনগুলোর শাস্তির বিষয়গুলো উল্লেখ করা থাকবে। একইসঙ্গে নদী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে। আইনের প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ব্যর্থ হলে জবাবদিহি করতে হবে কমিশনের কাছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা এমনকি ক্রিমিন্যাল অ্যাকশনও নেয়া যাবে। কমিশন এই ব্যবস্থা নিতে পারবে।’
নতুন আইনে ‘সরকার’ বলতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে বোঝাবে জানিয়ে মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘আমরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ করব। কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো কাজ থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘নতুন আইনে নদী রক্ষা কোর্ট করার বিধান রয়েছে। এক্সিসটিং (বিদ্যমান) কোর্টেও বিচার চলবে, মোবাইল কোর্টও থাকবে। এতে মামলা নিষ্পত্তিতে গতি আসবে।’
কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘নতুন আইনটি আমরা এই মাসের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাতে চাই। আমরা এখন খসড়ার বিষয়ে সবার মতামত নিচ্ছি।’
খসড়া আইনে যা আছে-
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান ও কমপক্ষে দুইজন নারী সদস্যসহ সর্বোচ্চ সাত সদস্যের সমন্বয়ে কমিশন গঠিত হবে। কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রত্যেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ পাবেন। কোনো ব্যক্তি চেয়ারম্যান বা সদস্য পদে সর্বোচ্চ দুই মেয়াদের জন্য নিয়োগ পাবেন, তবে বয়স ৭০ বছর হলে অবসরে যেতে হবে। কমিশনের চেয়ারম্যান ও তিন সদস্য পূর্ণকালীন সময়ের জন্য কর্মরত থাকবেন এবং অন্য তিন সদস্য সাম্মানিক ও খণ্ডকালীন হবেন।
বর্তমানে একজন নারী সদস্যসহ কমিশন পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট। চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মেয়াদ তিন বছর।
কমিশনের কার্যাবলী-
খসড়া নদী রক্ষা কমিশন আইনে বলা হয়েছে, কমিশন নদীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, অধিদফতর ও সংস্থা এবং বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির কার্যাবলী সমন্বয় করবে। কমিশন আবশ্যক বিবেচিত যে কোনো পরামর্শ এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য পাঠাবে, যা যৌক্তিক কিংবা আইনগত কোনো কারণ ছাড়া সংশ্লিষ্টরা বাস্তবায়ন করতে বাধ্য থাকবে এবং বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদনের মাধ্যমে কমিশনকে জানাবে।
এতে বলা হয়, কমিশন নদী সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো আইন প্রয়োগে নদীর অবৈধ দখলমুক্ত করা এবং পুনঃদখল রোধে এবং উচ্ছেদ ও উদ্ধারে জেলা প্রশাসক ও কালেক্টরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা, পরামর্শ বা সুপারিশ দেবে। যা তাদের আবশ্যই পালন করতে হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে গুরুত্ব বিবেচনায় উচ্ছেদ ও নদ-নদীর ভূমি উদ্ধারে প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়ে অভিযানে নেতৃত্ব দিতে পারবে কমিশন।
নদীর মধ্যে কিংবা তীরভূমিতে বা ফোরশোরে বা নদীর বর্ধিত ভূমিতে ও নদীর নির্ধারিত প্লাবন ভূমিতে অবৈধ স্থাপনা বা কাঠামো নির্মাণ ও নানাবিধ অনিয়ম রোধ এবং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিতে প্রয়োজনে কমিশন কার্যকর আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। কিংবা সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেবে।
কমিশন দেশের নদী রক্ষায় মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে এবং এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘকালীন পরিকল্পনা নেবে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে অর্থায়নের সুপারিশ বা প্রস্তাব করবে বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।
নদীর বিশেষ মর্যাদা-
দেশের মধ্যে ও দেশের মধ্য দিয়ে প্রবহমান সব নদী আইনি ব্যক্তি ও জীবন্ত সত্তা হিসেবে বিবেচিত হবে। সব নদী একই মর্যাদা পাবে বলে খসড়া আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, দেশের মধ্যে ও দেশের মধ্য দিয়ে প্রবহমান সব নদীকে পাবলিক ট্রাস্ট মতবাদের আওতায় পাবলিক ট্রাস্ট প্রপার্টি হিসেবে ঘোষণা করা হলো এবং সব নদীকে পাবলিক ট্রাস্ট মতবাদের আওতায় ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ ও বর্ণনা করতে হবে।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে দেশের সব নদ-নদী দূষণ ও দখলমুক্ত করে সুরক্ষা, সংরক্ষণ এবং উন্নয়নের জন্য আইনগত অভিভাবক ঘোষণা করে নতুন আইনে বলা হয়, নদী সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা, অধিদফতর এবং মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দেশের সব নদ-নদীর দূষণ ও দখলমুক্ত করে স্বাভাবিক নৌচলাচলের উপযোগী করে সুরক্ষা, সংরক্ষণ, উন্নয়ন, শ্রীবৃদ্ধিসহ যাবতীয় উন্নয়নে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বাধ্য থাকবে। সংশ্লিষ্টরা নদী রক্ষা কমিশনকে সঠিক এবং যথাযথ সাহায্য ও সহযোগিতা দিতে বাধ্য থাকবে।
নতুন প্রকল্প প্রণয়নে নিতে হবে কমিশনের অনাপত্তি-
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, দেশের সব নদ-নদী, খাল-বিল, জলাশয় ও জলাধারের ক্ষেত্রে নতুন প্রকল্প প্রণয়নে পরিকল্পনা কমিশন, এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ, বিএডিসিসহ সব সংস্থা জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে যথাসময়ে জানাবে এবং কমিশনের অনাপত্তিপত্র নেবে।
নদ-নদী, খাল-বিল, জলাশয়, জলাধার কিংবা সমুদ্র উপকূল অবৈধভাবে দখলকারী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান (সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, ব্যক্তি বা গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা, সংগঠন ইত্যাদি) সংশ্লিষ্ট বৈধ কর্তৃপক্ষের আদেশে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজেদের সরিয়ে নেবেন। তা না হলে কমিশন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় দখলকারীদের খরচে তা উচ্ছেদ করবে। দখলকারী দখল উচ্ছেদ ও নদী দখলের আগের অবস্থায় নদীকে ফিরিয়ে নিতে যাবতীয় খরচ বহন করবে কিংবা কমিশন আইন অনুযায়ী তা আদায় করবে।
অবৈধ দখলদার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তার স্থাপনা সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হলে তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে নদী কোর্টে কিংবা মোবাইল কোর্টে কমিশনের মামলা করতে হবে উল্লেখ করে খসড়ায় বলা হয়, নদী দখল, স্থায়ী বা অস্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ, নদীর পানি ও পরিবেশ দূষণ এবং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করাও ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে।
দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ এলাকার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদী ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-অভিভাবকদের নিয়মিতভাবে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করবে। এছাড়া দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় পর্দায় নদী, প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর দেশি-বিদেশি ডকুমেন্টারি, ছবি প্রদর্শন করবে।
নদী রক্ষা কোর্ট-
দেশে ‘নদী রক্ষা কোর্ট’ নামে প্রতিটি বিভাগে এক বা একাধিক কোর্ট স্থাপিত হবে। দেশের প্রতিটি বিভাগীয় নদী রক্ষা কমিশন কার্যালয়ের সঙ্গে একটি নদী রক্ষা কোর্ট প্রশাসনিকভাবে যু্ক্ত থাকবে। প্রতিটি কোর্ট একজন বিচারকের সভাপতিত্বে গঠিত হবে। কোর্টকে সহায়তা করার জন্য নদী রক্ষা কমিশনকে তিন বা এর বেশি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে খসড়া আইনে।
সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা-
খসড়ায় আরও বলা হয়, নদ-নদীর অবৈধ দখল, দূষণ, নাব্যতা কমানো, পানি, পরিবেশ-প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্যসহ বহুমাত্রিক ব্যবহার বিঘ্নিত বা সংকটাপন্ন হয় বা হওয়ার আশঙ্কা থাকে তবে কমিশন নদী ও নদী সংলগ্ন এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করতে পারবে। প্রতিবেদন : জাগো নিউজ