আসাদুজ্জামান : রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক মোহাম্মদ শাহেদ ওরফে শাহেদ করিমের অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় তাকে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক শেখ মফিজুর রহমানের কাছে কথা বলার অনুমতি চান শাহেদ। অনুমতি দেয়ার পর তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেন, তাকে ঢাকা থেকে ধরে এনে ষড়যন্ত্র মুলকভাবে সাতক্ষীরায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে তিনি আদালতকে অবহিত করেন।
আলোচিত প্রতারক শাহেদ করিমের মামলা দুটি আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারী স্বাক্ষীর দিন ধার্য করা হয়েছে। শুনানি শেষে তাকে আবারো সাতক্ষীরা কারাগারে নেয়া হয়েছে। এ দুটি মামলার সে একমাত্র আসামী।
উল্লেখ্য ঃ গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর এলাকা দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেন। বোরখা পরিহিত শাহেদকে কোমরপুর বেইলি ব্রীজের নীচ থেকে র্যাব-৬ এর সদস্যরা গোপন সংবাদে তাকে আটক করেন। এসময় তার কাছে থাকা একটি অবৈধ পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ২৩৩০ ভারতীয়রুপি, ৩টি ব্যাংকের এটিএমকার্ড ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। সকালে সাতক্ষীরায় এনে হেলিকপ্টার যোগে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় র্যাবের ডিএডি নজরুল ইসলামবাদীহয়ে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দেবহাটা থানায় রাতে শাহেদ করিম ও জনৈক বাচ্চ ুমাঝিকে আসামী করে একটি মামলা করেন। তদন্তকারি কর্মকর্তা প্রথমে দেবহাটা থানার ওসি উজ্জল কুমার মৈত্র। দুই দিন পর র্যাবের এসআই রেজাউল করিম তদন্তকারি কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে ১০দিনের রিমান্ডে নেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই বছরের ২৪ আগস্ট বাচ্চু মাঝির হদিস না পেয়ে শুধুমাত্র শাহেদ করিমকে অভিযুক্ত করে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।##
পূর্ববর্তী পোস্ট