পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম বলেছেন, বনানীতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনায় চলমান তদন্তের স্বার্থে এর সাথে সংশ্লিষ্ট খুঁটিনাটি তথ্য এখনই প্রকাশ করা সমীচীন হবে না। সেই সাথে আমরা এখন পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। তবে বনানীতে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। বনানীতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার সর্বশেষ আসামী নাঈম আশরাফকে গ্রেপ্তার করার পর এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমাদের আইন অনুযায়ী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পেনাল কোড অনুযায়ী ধর্ষণের যে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে সে অনুযায়ী মোটামুটি ধর্ষণের কিছু তথ্য প্রাথমিক ভাবে পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রকৃত ঘটনা যতদূর জানা যায় তা আমরা আপনাদের জানাবো।
নাইম আশরাফকে দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামী নাঈম আশরাফ ওরফে আব্দুল হালিমকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার রাতে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ২৮ মার্চ বনানীতে দ্য রেইনট্রি হোটেলে বন্ধুর মাধ্যমে এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। এরপর অভিযুক্তরা ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখে।
যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, তাদের একজন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত আহমেদ। প্রাণনাশসহ বিভিন্ন হুমকি উপেক্ষা করে ঘটনার একমাসের বেশি দিন পর ওই দুই তরুণী ৪ মে বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করতে যান। তবে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে তাদেরকে হয়রানী করে বলে অভিযোগ ওঠার ৪৮ ঘণ্টা পর ৬ মে ওই অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে।
গত ১১ মে সাফাত ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর দিন আদালতে তোলা হলে আদালত সাফাতকে ৬ দিন এবং সাদমান সাকিফকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া গত ১৫ মে সাফাতের দেহরক্ষী রহমতকে গুলশান থেকে এবং ড্রাইভার বিল্লালকে নবাবপুর থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে রহমতকে ৩ দিন এবং বিল্লালকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।