বিনোদনের খবর : ভারতে চলছে তারকা দিয়ে দল ভারী করার লড়াই। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে বেশ নজর দিয়েছে দেশটির সকল রাজনৈতিক দল। মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেসকে তো বলাই হয়ে থাকে তারকাদের দল।
তাপস পাল, শতাব্দী রায়, চিরঞ্জিতের মতো তারকারা এই দলের সাংসদ হিসেবে রয়েছেন। এরা সবাই ক্যারিয়ারে শেষদিকে রাজনীতিতে এলেও মমতা যুবকদের আকর্ষণ বাড়াতে দলে টেনেছেন ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা দেব, সোহম, নুসরাত, মিমিদের।
নতুন করে গতকাল এক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন সায়নী ঘোষ, কাঞ্চন মল্লিক, রাজ চক্রবর্তীসহ আরও অনেকেই।
এবার সরকারে থাকা বিজেপিও বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারকাদের দলে ভেড়াতে। তারা নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে বাংলার তারকাদের দলে নিতে। এরইমধ্যে ‘পদ্ম’ শিবিরে যোগ দিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ, যশ, হিরনের মতো তারকারা।
আর নতুন করে পরিকল্পনা করা হচ্ছে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, পাওলি দাম, আবির চ্যাটার্জিদের নিয়ে। সম্প্রতি বিজেপির এক মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে দেখা গেছে এই তারকাদের। যাতে করে তাদের বিজেপিতে যোগ দেয়ার বিষয়টি জোর আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জানা গেল, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের ডাকে সাড়া দিয়ে ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, আবীর চট্টোপাধ্যায়, পাওলি দামের মতো টলিপাড়ার প্রথম সারির অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। যা রাজনৈতিক মহলে নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে।
গেল সোমবার কেন্দ্রীয় ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের তরফে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কার্যত গোটা টলিউডকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে এদিন সন্ধে থেকেই দেখা যায় রীতিমতো চাঁদের হাঁট।
একে একে হাজির হন ঋতুপর্ণা, আবীর, পাওলিরা। ছিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়, মমতা শঙ্কর, প্রযোজক মহেন্দ্র সোনি, নিসপাল সিং রানে, পরিচালক অনীক দত্ত, অরিন্দম শীলদের মতো তারকারা। এছাড়াও যে সমস্ত তারকা ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তারা কমবেশি সকলেই এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তথাকথিত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ তারকাদেরও অনেকে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। যারা সেভাবে শাসক বা বিরোধী কোনো শিবিরেরই অংশ নন, তাদেরও কেউ কেউ এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে শঙ্কুদেব পাণ্ডা, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্ত, বাবুল সুপ্রিয়র মতো মার্কামারা বিজেপি নেতারাও হাজির ছিলেন ওই সরকারি অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠান শেষে কেন্দ্রীয় বাঙালি আবেগকে কাজে লাগাতে দাদাসাহেব ফালকের ধাঁচে সত্যজিত রায়ের নামে পৃথক চালুর কথাও ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক।