আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজস্ব গ্রুপ ও দল ভারি করার স্বার্থে আবর্জনা দলে টানবেন না।
শনিবার আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা ২০১৭ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলার নেতাদের অভিযোগের শোনার পরে সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবনে অনুষ্ঠিত এ সভায় ৮টি বিভাগের অন্তর্গত ৮ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বক্তব্য রাখেন। এসময় বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করেন তৃণমূলের নেতারা।
পরে শেখ হাসিনা তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ‘আমার কাছে তথ্য আছে, দল ভারির জন্যে অন্য দল থেকে সুবিধাবাদীদের দলে টানা হচ্ছে, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, এরা দলে ঢোকে কমিশন খাওয়ার লোভে। দলে ঢুকে এরা এত বেশি শক্তিশালী হয়ে যায় যে এদের কনুইয়ের গুঁতায় আমার দলের নিবেদিতরা টিকতে পারে না।’
প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে নিজ জেলার নেতাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হবে নির্দেশ প্রধান করে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমি সার্ভে করে দেখেছি প্রত্যেকে নিজ নিজ এলাকায় গ্রুপ করার স্বার্থে, দল ভারি করার স্বার্থে বিএনপি-জামায়াতের দাগীদের–যারা আমাদের নেতাকর্মীদের ২০০১ সালের নির্বাচনের পরে অত্যাচার নির্যাতন করেছেন তাদের টেনেছে। এরা দলের ভেতরে এসে দলের ক্ষতি করে। এমনকি আমাদের দলের নেতাকর্মীদের হত্যার সঙ্গে পর্যন্ত জড়িত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে নৌকার প্রতীক যাদের দেবো সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। কেউ অন্য কাউকে সমর্থন দেবেন না। তিনি বলেন, সংগঠনকে গতিশীল করতে সব জেলার নেতাকে বছরান্তে সাংগঠনিক রিপোর্ট দিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এখনও পর্যন্ত প্রত্যেক জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে দলীয় কার্যালয় নাই। অথচ অনেক বিত্তশালী আমাদের দলে আছেন। আমি প্রত্যেক জেলা উপজেলা ও ইউনিয়নে দলীয় কার্যালয় চাই। আমাকে এ ব্যাপারে জানাবেন। আমাদের দলের নেতারাও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন। দলীয় কার্যালয়গুলো ঠিকভাবে চালু রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আজকের বর্ধিত সভা থেকে দেওয়া ল্যপটপগুলো কেউ ঘরে ফেলে রাখবেন না। সবাই দলীয় কার্যালয়ে ব্যবহার করবেন।’ এসময় তিনি উদ্বোধন করা সদস্য সংগ্রহ অভিযান পরিকল্পিতভাবে করার জন্যে প্রত্যেক নেতাকর্মীকে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে সদস্য সংগ্রহ ফরমের মুড়ি বই ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আপনাদের হাতে যেসব অডিও, ভিডিও সিডি হাতে দেওয়া হয়েছে তা গ্রামে গঞ্জে, হাটে বাজারে প্রচার করতে হবে। একদিকে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচার করতে হবে, অন্যদিকে, বিএনপি কী করেছে তাদের সেসব অপকর্ম জনসমক্ষে ব্যাপকভাবে তুলে ধরতে হবে।