বিদেশের খবর : কিউবায় ছয় দশকের কাস্ত্রো জমানার ইতি ঘটতে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ পদ ছেড়ে দিয়েছে রাউল কাস্ত্রো। ফিদেশ ও রাউলের পর এবার দেশের শাসনভার মিগুয়েল ডিয়াজ-ক্যানেলের হাতে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এখবর জানিয়েছে।
২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর থেকে দেশের প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন মিগুয়েল। এবার তার হাতেই দলের নিয়ন্ত্রণ। পার্টির শীর্ষ পদ ফার্স্ট সেক্রেটারির দায়িত্ব শনিবারই তার হাতে তুলে দেবেন রাউল।
শুক্রবার থেকে কিউবায় শুরু হয়েছে পার্টি কংগ্রেস। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এই কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। দলের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে পরবর্তী পাঁচ বছরের নীতি ও নেতৃত্বের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শুক্রবার পার্টি কংগ্রেসের প্রথম দিনেই ৮৯ বছরের রাউল কাস্ত্রো ঘোষণা দেন, তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন দলের শীর্ষ পদ থেকে।
গত পার্টি কংগ্রেসেই রাউল জানিয়ে দিয়েছিলেন কংগ্রেসের নেতৃত্বে শেষবার দেখা যাচ্ছে সেই ‘ঐতিহাসিক প্রজন্ম’কে, যারা ১৯৫৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত একনায়কতন্ত্রের সমাপ্তি ঘটিয়ে বাম বিপ্লব এনেছিলেন। সেই কথা রেখে এবারের কংগ্রেসের শুরুতেই দলের শাসনভার ছেড়ে দিলেন তিনি।
১৯৫৯ সালে দেশের প্রেসিডেন্ট হন ফিদেল কাস্ত্রো। সেই থেকে দল ও কিউবার নেতৃত্বে ছিলেন কাস্ত্রো পদবীধারীরা। প্রথমে ফিদেল। পরে রাউল। অবশেষে ৬ দশকের শেষে এল পরিবর্তন। দায়িত্ব পেলেন পরবর্তী প্রজন্মের নেতা মিগুয়েল। ফিদেল কিংবা রাউলের মতো সেনা উর্দি পরেন না তিনি। বরং আধুনিক প্রযুক্তির প্রতি আসক্তি রয়েছে ৬০ বছরের নেতার।
নতুন নেতা মিগুয়েলের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অর্থনৈতিক সংকট। যার ফলে ক্রমশই দেশের মানুষের মধ্যে অবসাদ বাড়ছে। বিশেষ করে কিউবার তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। গত বছর দেশের আর্থিক বৃদ্ধি কমেছে ১১ শতাংশ। এত বড় ধাক্কার ফলে রীতিমতো বেকায়দায় দেশের অর্থনীতি।