বিদেশের খবর : মুসলিমদের কাছে পবিত্র আরবি মাস রমজান শেষে আসে আনন্দের ঈদ। আর এই ঈদের মধ্যেই নিরীহ ফিলিস্তিনিদের টার্গেট করে প্রতিদিন চালানো হচ্ছে শত শত হামলা। এক কথায় গাজাকে সাক্ষাৎ মৃত্যুপুরিতে পরিণত করেছে ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটি।
গাজায় ইসরায়েলের রকেট হামলায় মৃত্যু সংখ্যা প্রায় ২০০ জনে পৌঁছেছে। পাল্টাপাল্টি হামলার অষ্টম দিন রবিবার ইসরায়েলের হামলায় নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৪২ জন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
সোমবার (১৭ মে) সকাল থেকে গাজায় নতুন নতুন স্থানে হামলা শুরু করেছে। এই শত্রুতার দ্রুত অবসান হবে না বলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর হুমকির কয়েক ঘণ্টা পর ফের হামলা চালাল ইসরায়েল।
এর আগে গাজায় হামাস প্রধানের বাড়িও গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। আল-জাজিরা, এপিসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের ভবনও গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ১৯২ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৮ জন শিশু এবং ৩৪ জন নারী। হামাসের হামলায় অন্তত দশ ইসরায়েলির মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে দুই জন শিশু রয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
হামাস ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রবিবার জরুরি বৈঠকে বসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তবে তারা এ বিষয়ে একমত হতে এবং যৌথ বিবৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
গত সপ্তাহে (৭ মে) থেকে জেরুজালেমের মসজিদ আল আকসায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায় ইসরায়েল। পরপর তিন দিন ওই হামলায় সাত শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হন। এরপরই ইসরায়েলকে হামলা বন্ধের জন্য আল্টিমেটাম দেয় গাজার নিয়ন্ত্রক হামাস। আল্টিমেটাম পার হলেই ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এরপর ইসরায়েল পাল্টা হামলা শুরু করলে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৪ সালে গাজায় ইসরায়েলিদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সাত সপ্তাহের যুদ্ধের পর এবারই সবচেয়ে বড় ধরনের সংঘাত হচ্ছে।সূত্র: আল-জাজিরা