দেশের খবর : পুলিশি চেকপোস্টে রক্ষা পায়নি এএসআইয়ের মোটরসাইকেল। যৌক্তিক কারণ ছাড়া বের হওয়া ও হেলমেটসহ মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখাতে সক্ষম না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিন রোববার বেলা ১১টার দিকে নগরীর আমতলার মোড়ে চলমান চেকপোস্টে পুলিশ পরিচয় দিয়েও এক ব্যক্তি রক্ষা পাননি। পরে তার মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে নগরীর আমতলার মোড়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনারের (ট্রাফিক) উপস্থিতিতে নিয়মিত চেকপোস্টে জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম চলছিল। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে হেলমেটবিহীন দুই ব্যক্তি সেখানে হাজির হন। চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা লকডাউনের মধ্যে তাদের ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চান। তবে যৌক্তিক কোনো কারণ দেখাতে পারেনি তারা।
এ সময় মোটরসাইকেল আরোহীর একজন নিজেকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্য দাবি করেন এবং নিজের নাম কামরুজ্জামান, পদবি এএসআই বলে জানান। তবে ওই সময়ে তার ডিউটি ছিল না এবং পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি। এমনকি তার গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে তাও দেখাতে পারেননি। তাই তার মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, নিয়মানুযায়ী চেকপোস্টে মোটরসাইকেলটি থামানো হয় এবং হেলমেটবিহীনভাবে দু’জন এক মোটরসাইকেলে আরোহণ করার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে লকডাউনে বাইরে বের হওয়ার কারণও জানতে চাওয়া হয়। তবে তাদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে নিজের পরিচয় দেন কিন্তু কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি। আর মোটরসাইকেলটির কাগজপত্র থাকলেও তা সঙ্গে না থাকায় দেখাতে পারেননি। তাই তার মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, সবার জন্যই আইন সমান, তাতে আমাদের পুলিশ সদস্য হলেও কিছু করার নেই। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।