বিদেশের খবর : আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় জালালাবাদ শহরে দেশটির জাতীয় পতাকা পরিবর্তন না করার দাবিতে রাস্তায় মানুষ বিক্ষোভ করেছে। এ বিক্ষোভের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিক্ষোভের সময় গুলিতে ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা পরিবর্তন না করার জন্য তালেবানের প্রতি আহ্বান জানান। এ বিক্ষোভে তালেবান যোদ্ধারা গুলি ছুড়লে অন্তত ৩ জন নিহত হন বলে খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বুধবার রয়টার্স জানায়, কাবুল থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে জালালাবাদ শহরের একটি চত্বরে স্থানীয় বাসিন্দারা আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের চেষ্টা করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে তালেবানের মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে রয়টার্স। তবে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।
বিবিসি জানায়, বুধবার দেশটির কুনার প্রদেশ এবং খোস্ত-এসহ অন্যান্য এলাকা থেকে একই ধরনের বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। কোনো কোনো ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, যেখানে মানুষ জড়ো হয়েছে সেখানে গুলি ছোড়া হয়েছে।
তালেবান নানগারহার প্রদেশের জালালাবাদ শহরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে রোববার সকালের দিকে। বিনা লড়াইয়ে শহরটি দখল করে তারা। এর মধ্যে দিয়ে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোরও নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ওই এলাকার একদল মানুষ আফগানিস্তানের পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করে যাচ্ছেন। মিছিলের জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছোঁড়া হয়েছে বলে খবর এসেছে।
জালালাবাদ থেকে তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা তালেবানের পতাকা সরিয়ে সেখানে আফগানিস্তানের সর্বশেষ পতাকা তুলছে। আশপাশে সমবেত জনতা সেদিকে তাকিয়ে হর্ষধ্বনি করছে।
তালেবান নতুন ঘোষিত ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানের জন্য এখন পর্যন্ত যে পতাকাটি ব্যবহার করছে তাতে সাদার ওপর কালো হরফে কালেমা শাহাদাত লেখা আছে। বিক্ষোভকারীরা কালো, লাল এবং সবুজের যে তিন রঙা পতাকা মিছিলে ব্যবহার করেছে সেটি ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে।
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন যে, ভবিষ্যতে দেশটির জাতীয় পতাকা কোনটি হবে তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। নতুন সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।