নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ নৌকা প্রতিক মনোনয়ন দিয়েও সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে গাজী শওকত হোসেনের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি স্বজল মুখার্জী অভিযোগ তুলেছিলেন, গাজী শওকত হোসেন একজন রাজাকারপুত্র। নৌকা বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েন শওকত হোসেন। রোববার তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতিক নিয়ে জয়লাভ করেন তিনি।
তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গত ২২ অক্টোবর আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন ও নৌকা প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়।
ওই সময় নৌকা পান ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী শওকত হোসেন। এরপরই মনোনয়ন বানিজ্যের অভিযোগ তোলেন ইউনিয়নটির আ.লীগ সভাপতি স্বজল মুখার্জী। গাজী শওকত হোসেনকে রাজাকারপুত্র আখ্যায়িত করে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনও করেন তিনি। এই ঘটনার পর ২৮ অক্টোবর গাজী শওকত হোসেনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাহার করে স্বজল মুখার্জীকে নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন দেয় আ.লীগ।
নির্বাচনে ১০ নং ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। নৌকা প্রতিক নিয়ে লড়েছেন ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি স্বজল মুখার্জী, চশমা প্রতিক নিয়ে মাঠে ছিলেন দলটির ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক নাজমুস শাহাদাত রাজা।
এছাড়া বিএনপির স্বতন্ত্রপ্রার্থী আব্দুল করিম আনারস প্রতিক, শেখ ফিরোজ আলম মোটর সাইকেল প্রতিক ও বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী শওকত হোসেন ঘোড়া প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন।
কালিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের রিটানিং কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, ভোট গণনা শেষে নৌকা প্রতিক ৪,২৭৬ ভোট, চশমা প্রতিক ২,৬৭৮ ভোট, ঘোড়া প্রতিক ৫,৩৮৩ ভোট, আনারস প্রতিক ৩৯৭ ভোট ও মোটর সাইকেল প্রতিক ৭৬৬ ভোট পায়। এরপর চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী গাজী শওকত হোসেনকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়।