অর্থনীতির খবর: মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেও রেমিট্যান্স ভালো এলে বর্তমানে তা নিম্নমুখী। এখন ক্রমেই কমছে রেমিট্যান্সের পরিমাণ। সদ্য বিদায়ী নভেম্বর মাসে দেশে ১.৫৫ বিলিয়ন বা ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। যা দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে সর্বনিম্ন ১৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে।
বুধবার (০১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য বিদায়ী নভেম্বর মাসে ১.৫৫ বিলিয়ন বা ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা দেড় বছর বা ১৮ মাসের মধ্যে এটিই সবচেয়ে নিম্নগামী। গত বছরের (নভেম্বর ২০২০) একই সময়ের চেয়ে ২৫ শতাংশ কম। ২০১৯ সালের নভেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৭ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। এর আগে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের মে মাসে। ওই সময় রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল ১৫০ কোটি ডলার।
করোনার পর অবৈধ চ্যানেলগুলোতে (হুন্ডি) অর্থ লেনদেন বেড়ে যাওয়ায় রেমিট্যান্স কমছে বলে জানান খাতসংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি করোনায় চাকরি হারিয়ে প্রবাসীরা জমানো টাকা দেশে আনায় করোনাকালে রেমিট্যান্স বেড়েছিল।
চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) দেশে রেমিট্যান্স আসে ৮৬০ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৭৩ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২২৮ কোটি ৫২ লাখ বা প্রায় ২১ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে এক হাজার ৮৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার বা ৯২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা প্রবাসী আয় এসেছিল।
সদ্য বিদায়ী নভেম্বর মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২০ কোটি ৬৫ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে এসেছে ৭৪ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।