চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাঁচা-মরার লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। শুরুতেই সৌম্যের বিদায় যেন দলকে ঠেলে দিল খাদের কিনারায়। এর পর থেকে আসা যাওয়ার মধ্যে ছিল বাংলাদেশের ব্যাস্টম্যানরা। এক পাশ থেকে দলকে আগলে ধরে রেখেছিল টাইগারদের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। অপরপাশ থেকে কেউ যেন তাকে সঙ্গ দিতে পারছিল না। প্রথম ম্যঅচে ১৬৬ রানের জুটি গড়া মুশফিকও এদিন পারেনি তামিমের সঙ্গী হতে।
হতাশায় আলোর মুখ দেখিয়েছিল সাকিব। তামিমের সঙ্গে ৬৯ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি গড়েছিল বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। কিন্তু তিনিও শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেননি। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝে একাই দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল তামিম।
প্রথম ম্যাচের পর এ ম্যাচেও শতকের দ্বার প্রান্তে দেশ সেরা এই ওপেনার । ১১৩ বলে ৯৫ রান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রাফিতে দ্বিতীয় শতক পেতে তার চাই মাত্র ৫ রান। কিন্তু মিচেল স্টার্ককে উঠিয়ে মারতে গিয়ে লং লেগে জশ হ্যাজেলউডের হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। অল্পেনর জন্যসাঈদ আনোয়ার, সৌরভ গাঙ্গুলি ও হার্শাল গিবসদের সঙ্গে নিজের নামটা যুক্ত করতে পারলেন না। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সাত ব্যাটসম্যান টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিল। হয়তো আজ তামিমের নামটাও থাকতো।
তামিম গৌরবগাঁথা ইনিংস ১১৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৫ রানের সাজান। ওয়ানডে ক্রিকেটে এর আগে আরো দুবার ৯৫ রানে আউট হয়েছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯৫ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে একই রানে। আজ সেই সংখ্যাটা তিনে নিয়ে গেলেন তামিম! শুধু ওয়ানডে না, টেস্টেও তামিম আউট হয়েছেন ৯৫ রানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।