কে এম রেজাউল করিম :
সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের উত্তর-পশ্চিম বিলের কৃষকরা মিনিকেট ধানের চাষ করে প্রতারিত হয়েছেন। যার ফলে শতাধিক একর জমির ধান বিনষ্ট হয়েছে, চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কৃষকরা।
কৃষক মনিরুল ও আব্দুস সবুর সহ প্রায় অর্ধ শতার্ধিক ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক জানান, তারা আলিপুর ইউনিয়নের উত্তর-পশ্চিম বিলের কৃষকরা মাহমুদপুর বাজারের মেসার্স মাসুম ট্রেডার্স, আলিপুর ঢালীপাড়ার মনজুর সহ কয়েকটি বীজের দোকান হতে রড মিনিকেট জাতের বীজ কিনে ধান চাষ করে।
কিন্তু ধান গাছের শীষ আসার পরে দেখা যায় ধান গুলো বি-৮১ জাতের ধান। ভূয়া বীজ চাষ করার কারনে ধান পাকার আগ মূহুর্ত্বে ধানের শীষ গুলো শুকিয়ে চিটায় পরিণত হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা আরো জানান, এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত বøক সুপারভাইজার(উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা)গন আমাদেরকে কোন প্রকার পরামর্শ দেয়না। সরকার তাদেরকে নিয়োগ দিয়েছে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য কিন্তু তারা সারাদিন বিভিন্ন বীজ, সার ও কীটনাশকের দোকানে বসে গল্প গুজব আর চায়ের আড্ডায় মজগুল থাকে।
কৃষকরা আরো জানান, সঠিক বাজার তদারকির অভাবে ডিলার ও বীজ ব্যবসায়ী দোকানদারদের সহযোগিতায় ভাল মোড়কে ভূয়া বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে।
যার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি আমরা। লোন নিয়ে ও ধার-কর্য করে ভূয়া ধানের চাষ করে বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপনের আশংঙ্খায় আছি। এব্যপারে বীজ সরবরাহকারী মাহমুদপুর বাজারের মেসার্স মাসুম ট্রেডাস এর স্বত্তাধিকারী মাসুম পারভেজ জানান, আমি তো বীজ বিক্রি করি প্যাকেটের ভেতরে কী আছে আমি তো জানিনা।
কৃষকরা যা চেয়েছে আমি তাই দিয়েছি, এখানে আমার কী করার আছে? আলিপুরে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শওকত হায়দার ও ইমরুল কবির তাদের বিরুদ্ধে কৃষকদের করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৮১-২৮ জাতের ধানগুলো ঘের বা নীচু জমিতে ভাল হয়না এবং রড মিনিকেট ধান ভারতীয় বীজ।
আমরা তাদেরকে(কৃষক) ৫৮, ৫০, ৬৭, ৬৩ ও ৮৮ জাতের ব্রী ধান চাষের পরামর্শ দিয়ে ছিলাম কিন্তু কৃষকরা তা শোনেনি। আর ধানের শীষ শুকানো হল ব্লাস্ট রোগ, এটা ছত্রাক নাশক স্প্রে করলে ভাল কাজ দেয়, কিন্তু কৃষকরা সময়মত ছত্রাক নাশক স্প্রে করেনি। তবে সচেতন মহলের প্রশ্ন শতশত বিঘা ধান নষ্টের দায় নিবে কে? ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের আর্তনাদ শুনবে কে?