নিজস্ব প্রতিনিধি :
ঈদের আগেই সাতক্ষীরায় মুজিববর্ষের গৃহ পাচ্ছেন ২৪০জন ভূমিহীন পরিবার। আগামী ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪ জন বাস্তহারা, ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর এই উপহারের জমিসহ ঘর। ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বাস গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠান সফল করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসনের কনফারেন্স রুমে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তানজিল্লুর রহমান। এসময় জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণা রায় ও বাপ্পী দত্তসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস কনফারেন্সে জানানো হয় “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা” প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলার ৭টি উপজেলার ভূমিহীন, গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনে তালিকা প্রস্তুত করা হয়। তৃতীয় পর্যায়ে ৮০৯টি বরাদ্দকৃত গৃহের কার্যক্রম চলমান আছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ খরচ ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। যা দ্বিতীয় পর্যায়ে ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও প্রথম পর্যায়ে ছিল ১লাখ ৭১ হাজার টাকা।
আগামী ২৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তুলনায় তৃতীয় ধাপে কাঠামোতে আসছে বেশ পরিবর্তন। বাড়ানো হয়েছে নির্মাণ ব্যয়। যে কারণে ঘরগুলো মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হবে। দুই শতাংশ জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর করে দেওয়া হয়েছে তাদের। এর সঙ্গে রান্নাঘর ও টয়লেট ছিল। আঙিনায় হাঁস-মুরগি পালন ও শাক-সবজি চাষেরও জায়গা ছিল।
এর মধ্যে তালায় বরাদ্দ হয়েছে ১১৫ টি, শ্যামনগরে ১৮৯ টি, দেবহাটায় ৮৫ টি, কলারোয়ায় ১৪০টি, কালিগঞ্জ ১১৫টি, সদরে ৮৫টি, এবং আশাশুনিতে ১৪৭টি। আগামী ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশব্যাপি গৃহ হস্তান্তরের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। তবে বরাদ্দকৃত ঘরগুলোর মধ্যে নির্মান সম্পন্ন হয়েছে তালায় ১৫টি, শ্যামনগরে ৮৫টি, দেবহাটায় ৫টি, কলারোয়ায় ২০টি, কালিগঞ্জে ২৫টি, সদরে ৪৩ টি এবং আশাশুনিতে ৪৭টি। ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর নির্মান সম্পন্ন হওয়া ঘরগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে একই দিন বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা। উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর হুসাইন সুজন প্রমুখ।