নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার সদ্য বিদায়ী সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বলেছেন, আমরা যে যেখানেই আছি সেখান থেকেই দেশের জন্য কাজ করতে হবে। প্রত্যেকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করলে দেশ থেকে জঙ্গিমুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে।
আমি যুগ যুগ ধরে চলে আসা কারাবন্দিদের খাবারের মান পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছিলাম।
যার প্রেক্ষিতে কারাবান্দিদের খাবারের মানের পরিবর্তন হয়েছে। আমি না করলে হয়তো কখনো পরিবর্তন হত কি না জানি না। আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় সারাদেশের কারাবন্দিদের খাবারের মানের পরিবর্তন হয়েছে।
শুক্রবার ৬ মে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশন, সাতক্ষীরার আয়োজনে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটি এ্যালামনাই এসোসিয়েশন সাতক্ষীরার জীবন সদস্য হয়েছি। আমাকে ডাকলেই আমি চলে আসবো। আমি যেখানেই থাকি না কেন সব সময় দেশের জন্য কাজ করে যাবো। তিনি আরও বলেন, ডুয়াস সাতক্ষীরায় যেভাবে কাজ করেছে তা সমগ্র বাংলাদেশের ঢাবি অ্যালমনাইদের জন্য অনুকরণীয়।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সাতক্ষীরার সভাপতি প্রফেসর আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্ববাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমান উল্লাহ আল হাদী, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিশ্বনাথ মন্ডল, সদ্য বিদায়ী সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এর সহধার্মিনী রুখসানা ইসলাম শিল্পী, জীবন বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক শেখ রেফাজুর রহমান বিমান, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সাহিদুর রহমান, তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, দেবহাটা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আকবর আলী, খুলনা বিএল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আবু তালেব, অ্যাড. সোমনাথ ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের প্রভাষক ইদ্রিস আলী, সীমান্ত আদর্শ কলেজের প্রভাষক হাবিবুর রহমান, মনিরুজ্জামান মন্ময় মনির প্রমুখ।
এসময় বক্তারা সংবর্ধিত অতিথির মানবিক আচরণ, সামাজিকতা ও বিচারক হিসেবে সাধারণ বিচার প্রার্থীদের প্রতি তার দায়বদ্ধতা ছিল অনুকরণীয়। তিনি বিচার প্রশাসনে জেলার সর্বোচ্চ কর্মকর্তা হওয়ার পরও DUAAS পরিবারকে যেভাবে সময় দিয়েছেন তা অনন্য। তার আন্তরিকতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণে সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থানরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত সাবেক শিক্ষার্থীরা একটি পরিবারের মত একত্রে অসংখ্য অনুষ্ঠান করতে পেরেছে।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার।