দেশের খবর: দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবি জানিয়ে শনিবার (১৩ আগস্ট) থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন সারা দেশের চা শ্রমিকেরা।
তবে এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৪ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে।
মালিকপক্ষের এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে শ্রমিকেরা বলছেন, তারা ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবিতে অনড়।
এদিকে বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) চলতি মাসে শ্রমিকদের জন্য চাল বা গম বরাদ্দের পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে। তারা শ্রমিকদের জন্য প্রতিকেজি ২৮ টাকা দরে গমের পরিবর্তে একই পরিমাণ চাল বরাদ্দের অনুরোধ করেছে।
সরকার চলতি অর্থবছরে চা শিল্পখাতের জন্য প্রতিকেজি ১৪ টাকা দরে ১৮০০ টন গম বরাদ্দ দিয়েছে।
জাতীয় শিল্প নীতি-২০১৬ এর অধীনে চা খাত একটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত শিল্প খাত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে, দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবং এর রপ্তানি বাড়ানোর জন্য সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে চা উৎপাদন ১৪০ মিলিয়ন কেজিতে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ২০২০ সালে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২.১৭ মিলিয়ন টন।
সারাদেশে চা সেক্টরে এক লাখ ১৫ হাজার স্থায়ী শ্রমিক রয়েছে। এছাড়া এই খাতের সঙ্গে সরাসরি নির্ভরশীল মানুষও সাড়ে তিন লাখের বেশি।
নগরায়ন এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভোক্তাদের রুচির পরিবর্তনের কারণে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যালোচনা অনুসারে, চা উৎপাদন এবং জাতীয় রপ্তানি আয়ে এর অবদান বাড়াতে বাজার বৈচিত্র্যকরণ প্রয়োজন।