তালা ডেস্ক : তালা উপশহর সহ আশেপাশের গ্রামের বাজার গুলুতে রসালো ফল বিক্রির সমাহার বেশ লক্ষ্যণীয়। রমজান মাসকে সামনে রেখে সারাদিনের প্রচন্ড গরমে শরীরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে ইফতারির রুটিনে রসালো ফল রাখছেন রোজাদার মুসল্লিরা। সেই সাথে জৈষ্ঠ্যের বারতা শেষ হবার আগেই সেই অতুলনীয় স্বাদ যেন বিমুখ না হয় তার জন্য রসালো ফল গ্রহণ যেন প্রাত্যাহিক রুটিন হয়ে দাড়িয়েছে।
সরেজমিনে বুধবার তালা বাজার ,গোনালী বাজার, হাজরাকাটি বাজার সহ ছোট ছোট গ্রাম্য বাজারে রসালো ফল সারি বেধে বিক্রি করতে দেখা যায়। কেউবা বাড়ির গাছের রসালো ফল নিয়ে এসেছেন বিক্রি করে পরিবারের জন্য কিছু তরকারি কিনবেন আবার কেউ বানিজ্যিকভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়ত বিক্রি করেন বলে জানা যায়। তবে সারাদিন যাই বিক্রি হোক না কেন ইফতারের পুর্ব মুহুর্তে যাচাই বাছাই ছাড়াই দরা দামকে পিছনে ফেলে রোজাদার মুসল্লীরা তাদের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে ইফতারির উদ্দেশ্যে ফল ক্রয় যেন রীতিমতো হিড়িক পড়ে যায় বলে স্থানীয় দোকানীরা জানান।
দেখা যায়, রসালো ফলের ভেতর জাতীয় ফল কাঠাল সাইজ অনুযায়ী ৬০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। আবার আমগুলোর ভেতর আমরুপালির স্বাদ বেশি পাওয়ায় খরিদ্দারগণ এ আমটিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।হাজরাকাটি গ্রামের রাম প্রসাদ রায় (দুষ্ট জানালেন এ বছর আমরুপালি কেজি প্রতি ৫০ টাকা, হিমসাগর, ল্যাঙড়া ৪০/৫০ টাকা, লতা, গোপালভোগ ৪০/৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। পাশাপাশি আনারস ২৫-৪০ টাকা সাইজ অনুযায়ী, কালো জামা, সাদা জাম ৩৫/৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরণ করে ঢাকা সহ বাইরের শহরগুলোতে বেশ লাভে বিক্রি করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। তালা সদরের সৈয়দ তরিকুল ইসলাম ,শহিদুল ইসলাম ,গোবিন্দ সেন জানান, মুসাল্লিরা সারাদিন রোজা রেখে প্রচন্ড দাবদাহে শরীরকে সুস্থ রাখতে ইফতারির রুটিনে রসালো ফল অবশ্যই রাখছি। নইলে পেটের পীড়া দেখা দিলে পুরো মাসের রোজা বরবাদ হয়ে যাবে। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামগুলো হতে আসা সাধারণ ব্যবসায়ীরা রসালো ফলগুলোতে কোনো প্রকার মেডিসিন ছাড়াই বিক্রি করছেন বলে আগত খরিদ্দার ও বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়।