প্রেস বিজ্ঞপ্তি : স্বামীর সম্পত্তির অংশ বুঝে পাওয়া এবং নিরাপত্তার দাবিতে পুলিশের হস্তক্ষেপ চেয়ে সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাহিদা আনছারী রুমি নামের এক বিধবা নারী। শনিবার (০৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে সাতক্ষীরার শহীদ আবদুর রাজ্জাক পার্কে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তার সাথে তার একমাত্র কন্যা হুমায়রা আফিয়া রুহিও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনকারী সাহিদা আনছারী রুমি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের ফয়জুল্লাপুর গ্রামের মৃত এম.এ.কে হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, স্বামী হেলাল উদ্দিনের মৃত্যুর পর আমি এবং অমার একমাত্র কন্যা হুমায়রা আফিয়া রুহি আমার স্বামীর ওয়ারেশ। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের সামনে আমার কন্যার সম্পত্তি ভাগ করে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। সেখানে আমার একটি ঘরও রয়েছে। কিন্তু স্বামীর ওয়ারেশ হিসেবে আমার এবং আমার কন্যার সম্পত্তির ভাগ না দিয়ে তালবাহানা করে যাচ্ছেন দেবর নাছির উদ্দিন ও শ^াশুড়ি তাহেরা বানু।
তিনি আরও বলেন, এতিমের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে আদালতে নাছির উদ্দিন মামলা দায়ের করে রিসিভার নিয়োগ করেন। আমি আদালতের দারস্ত হলে আদালত স্টে অর্ডার দিয়ে উভয় পক্ষকে স্ব-স্ব স্থানে ভোগ দখলের নির্দেশ দেন কিন্তু আদালতের স্টে অর্ডার না মেনে আমার দেবর ও শ^াশুড়ি বাগানের লক্ষ লক্ষ টাকার আম পেড়ে বিক্রি করে আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাহিদা আনছারী রুমি আরও বলেন, গত ৪ এপ্রিল ভোরে আমি, বড় বাজার কাঁচা ও পাকামাল ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক রজব আলী ও ভূমিহীন নেতা রিয়াজুলসহ কয়েকজন বাগান দেখতে গিয়েছিলাম। এ বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ৬০ মন আম পেড়েছি মর্মে কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করেছেন দেবর ও শ^াশুড়ি।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করে এসময় তিনি আরও বলেন, এতিম কন্যাকে নিয়ে আমি পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। অথচ আমার দেবর নাছির উদ্দিন ও শ^াশুড়ি তাহেরা বানু আমার এতিম কন্যার সম্পত্তির অংশ না দেওয়ার চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে।