নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আপন ছোট ভাইয়ের সম্পত্তি অবৈধভাবে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে খুন জখম চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে ভোমরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা আসাদুর রহমানের বিরুদ্ধে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ছোট ভাই মনতাজুর রহমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চৌবাড়ীয়া মৌজায় বি.আর.এস ১৫১২ নং খতিয়ানে ১০৯৩ দাগে ২১ শতক জমিসহ ৪৫ শতক জমি আলাউদ্দীন, পিতা- সৈয়দ আলির নামে রেকর্ড থাকে। উক্ত আলাউদ্দীনের নিকট হতে ১০৯৩ দাগের ২১ শতক জমি বিগত ইং ০৩/০৬/২০০৯ তারিখে ৩৫১৪ নং রেজিষ্ট্রি কোবলা দলিল মূলে ক্রয় করেন আসাদুর। উক্ত ২১ শতক জমিসহ ২৯ শতক জমি আসাদুর রহমান ২০/০৬/২০১২ তারিখে ৪১৩৪ নং রেজিষ্ট্রি হেবা ঘোষনা দলিল মূলে ছোট ভাই মনতাজুরের নিকট হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে আসাদুর রহমান ২০১৭ সালে ১৯/০৬/১৭ তারিখে ৪৮৯৩ নং রেজিস্ট্রি হেবা ঘোষনা দলিল মূলে মনতাজুরের নাবালিকা কন্যা মাহি রহমান মরিয়ম এর নামে দলিল করিয়ে দিতে বাধ্য করেন। উক্ত দলিলে সনাক্তকারী হিসেবে বড় ভাই আসাদুর নিজেই স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু আসাদুর রহমান সব কিছু জেনে শুনে অসৎ উদ্দেশ্যে কৌশলে মনতাজুরের স্বাক্ষর নিয়ে ৩০/০৭/২০১৮ তারিখে ৫৯৬০ নং রেজিষ্ট্রি হেবা দলিল সৃষ্টি করে নিজ নামে রেকর্ড করিয়ে নেয়। এছাড়াও সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে জমির দলিল সৃষ্টি করে নামজারী রেকর্ড করিয়ে নিয়েছে। এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা সহকারী কমিশনার(ভূমি) আদালত,সাতক্ষীরা সদরে একটি মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী মনতাজুর রহমান বলেন, আমার বড় ভাই জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুর রহমান বর্তমানে কোটি কোটি টাকা ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। যে কারনে আমার পৈত্রিক সম্পত্তিসহ আমার সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে এপর্যন্ত ৪টি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আমাকে হয়রানি করে যাচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বিতাড়িত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এনিয়ে গত ১১ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে আমাকে খুন জখম করার জন্য আলীপুর, শ্রীরামপুর, বহেরাসহ বিভিন্ন এলাকার ১০/১৫ জন ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে মহড়া দেয়। এই পবিত্র রমজান মাসে ইফতারের পরে অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ভাড়াটিয়া বাহিনীর মহড়ায় পরিবারের সদস্যরা ভীতুশন্ত্রস্থ হয়ে পড়ে। এছাড়া গত ১২এপ্রিল ২০১৭ তারিখে আমার জমি বিক্রির ৮ লক্ষ ২০হাজার টাকা গ্রহণ করে। সে সময় শর্ত ছিলো সংসার খরচ বাবদ প্রতিমাসে ১২ হাজার টাকা প্রদান করবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত একটি টাকাও প্রদান করেনি এবং উক্ত টাকা ফেরত না দিয়ে তালবাহানা করে যাচ্ছে। টাকা চাইতে গেলে আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। তার হুমকিতে দুই কন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আসাদুর রহমান বলেন, সে ১৫ বছর ধরে আমার নির্মিত বাড়ীতে থাকে। আমি তাকে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। সেই আমার টাকা পয়সা ধ্বংস করেছে। এছাড়া কোন লোকজন ভাড়া করিনি। সে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করছিল যে কারনে গ্রামবাসী প্রতিবাদ করেছে। আপনারা সত্যতা যাচাই করতে হলে এখানে আসুন।