প্রেস বিজ্ঞপ্তি : জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্তিতে, ঢাকা সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত ও সাবেক এলিট ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান শামসুজ্জামানকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
(১৬ জুন)শুক্রবার সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের আয়োজনে কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সংবর্ধনা স্মারক তুলে দেন ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মুহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পূর্ণমিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সাবেক অধ্যক্ষ তারেক ইকবাল খান মজলিশ, ঢাকা সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ অধ্যক্ষ পারভীন লায়লা সহ সারাদেশ থেকে আগত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলের শারীরিক শিক্ষাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ১৮ বছর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিফা রেফারি হিসেবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। তিনিই সবচেয়ে বেশি (১০০ এর বেশি) আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেন।
দেশের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র ইন্টারন্যাশনাল রেফারি অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত (এএফসি রেফারীজ মোমেন্তো অ্যাওয়ার্ড) রেফারি তৈয়ব। এশিয়ার সেরা ২৫ রেফারির তালিকায় থাকা তৈয়ব প্রথম সাউথ এশিয়ান রেফারি হিসেবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচে (নেপাল-২০১৩) প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেন। রেফারী হিসেবে তিনি সর্বাধিকবার বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যে জার্সিটি পরে তিনি প্রথম সাউথ এশিয়ান রেফারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন, স্মরণীয় সেই জার্সিটি ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নিলামে বিক্রি করে করোনা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে প্রদান করেছিলেন।
করোনা মহামারিতে এমন মহৎ কাজের জন্য তৈয়ব হাসান বাবু দেশ-বিদেশে প্রসংসিত হয়েছেন। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে পত্র প্রেরণ করেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ ক্রীড়া পদক – জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পুরস্কারের অর্থ এক লক্ষ টাকা তিনি স্থানীয় দুস্থ-পুষ্টিহীন শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করার ঘোষণা দেন।
রেফারিংয়ে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, সোনালী অতীত ক্লাবসহ বিভিন্ন সংস্থা-প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।