জুলফিকার আলী : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের কুলেডাঙ্গীর ব্রিজের রাস্তার দু ধার ভেঙে পানিতে বিলীন হয়ে যেতে বসেছে । রাস্তাটি এখন মরণ ফাঁদে, যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। প্রায় ৬০০ ফুট রাস্তা এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে ৷এমনকি রাস্তাটিতে বালু ইট খঁয়ের লেশ মাত্র নেই।
যানবাহন ও লোক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। শুধু সাধারন মানুষই নন, এলাকার কমলমতি স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র- ছাত্রী,চাকুরীজীবি, দিনমজুর, কৃষক, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের রয়েছে এই রাস্তার সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ। কুলে ডাঙ্গী, টেংরা, তলুইগাছা ও কুশখালীসহ আরো ৪- ৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। সংস্কারের অভাবে রাস্তাটিতে ইঞ্জিন চালিত যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে বাঁশদহা ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বলেন, হাজীর মোড় হইতে বাদিলকি মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি মাপ হয়েছিল আর ব্রিজের রাস্তা দুধার পেলা সাইটের জন্য এলজিইডি আবেদন করেছি। সরজমিনে যেয়ে কয়েকজন পথ যাত্রী আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর আলী, কালিশংকর ডেইলি সাতক্ষীরা, কে বলেন,ভাই রাস্তা দিয়ে এখন আর যানবাহন নিয়ে যাওয়া যায় না এখন বাইসাইকেল অথবা আমাদের হেঁটে যেতে হয়। ওপার দিকে হাজীর মোড় হইতে কুলে ডাঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তাটি বর্ষা হলেই হাঁটু কাঁদা পথচারীদের ভোগান্তি শেষ নেই।
এক দিকে কাঁদা অন্য দিকে রাস্তার দুই ধার ভেঙ্গে বিলীন হয়ে যেতে বসেছে। যা দ্রুত সংস্কার বা পুনঃনির্মাণ করা না হলে এলাকাবাসির সমস্যার অন্ত নেই। , ভ্যান, নছিমন, সাইকেল, মোটরসাইকেল সহ অন্নান্য যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। স্থাণীয় কৃষকেরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সেই সাথে দূরবর্তী এলাকার মানুষ উৎপাদিত পন্য পরিবহনের কারনে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে এলাকার পথচারীরা। এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার বিষয়টি তুলে ধরলেও কোন লাভ হয় নি।
ক্ষত বিক্ষত রাস্তাটি এভাবে আর কত দিন অবহেলিত থাকবে নাকি অচিরেই সংস্কার বা পুনঃনির্মান হবে এ প্রত্যাশায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসি।