নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সুফি সাধক খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) এর জন্মের সার্ধশত বর্ষ (১৫০তম জন্মজয়ন্তী) উপলক্ষে ২৩ ডিসেম্বর দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রাজধানীর উত্তরায় নলতা শরীফ কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশন প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পের পাশাপশি এক বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, একদিকে একজন আধ্যাত্মিক মহাপুরুষ হিসেবে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা যেমন সর্বজনবিদিত অন্যদিকে ব্রিটিশ-ভারতের অবিভক্ত বাংলায় মুসলিম রেনেসাঁয় তাঁর ভূমিকা অবিসংবাদিত। তাঁর জন্ম বঙ্গীয় মুসলমানের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা। ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে তাঁর জীবন ও কর্ম বিস্তৃত হলেও একবিংশ শতাব্দিতে তার জীবনাদর্শ আরো প্রবলভাবে প্রবাহিত। তিনি ছিলেন অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা বিভাগের সহকারি পরিচালক। তিনি বিভাজনপূর্ব ভারতে শিক্ষা বিভাগে পরীক্ষার খাতায় রোল নম্বরসহ অসংখ্য সংস্কার সাধন করেন। তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন ছিল খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার অসামান্য অবদান। আজ থেকে দেড়শ বছর আগে যে আলোকবর্তিকা নিয়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন সে আলোর পাদপ্রদীপে আজ সমগ্র বাংলা আলোকিত।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বরেন্দ্র-গবেষক ড. তসিকুল ইসলাম রাজা এবং বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ইমরুল ইউসুফ।
আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন খানবাহাদুর আহ্হানউল্লা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এএফএম এনামুল হক, ঢাকা মহানগর শিক্ষক সমিতির সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ প্রমুখ। আলোচকগণ খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) এর জীবন-কর্ম-অবদান নিয়ে আলোচনা করেন এবং জন্মসার্ধশতবর্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেমিনার অতিথিগণ এতিমখানার শিশুদের কবিতাসংকলন ‘কবিতা-লহরী’র মোড়ক উন্মোচন করেন।
সেমিনারের পাশাপাশি এতিমখানা প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবির অনুষ্টিত হয়। হার্ট, মেডিসিন, গাইনী, অর্থোপেডিকসহ বিভিন্ন বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। সেবা গ্রহণকারীদের আহছানিয়া মিশনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ঔষধ সরবারহ করে।###