নিজস্ব প্রতিনিধি : শ্যামনগরের কাশিমাড়ী পল্লীর ঝাপালী গ্রামে ৪ সন্তানের জননী কোহিনুর বেগম (৪৫) এর মৃত্যু নিয়ে ধ্রুম্যজাল তৈরী হয়েছে। এটা হত্যা নাকী আত্মহত্যা?
সরেজমিনে পরিদর্শন, ভুক্তোভোগীর পরিবার এবং পুলিশের বরাত দিয়ে জানা যায়, কাশিমাড়ীর ৭নং ওয়ার্ড ঝাপালী গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দীন সানার ভাই কওছার আলী সানার প্রথম স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী কোহিনুর বেগম ৪ আগষ্ট রবিবার সকাল ৮টার দিকে নিজ বসতবাড়িতে ঘরের আড়ার সাথে পরনের শাড়ী পেচিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করে। কিন্তু খবর পেয়ে শ্যামনগর থানার এসআই হানিফ ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই লাশ ঘরের আড়া থেকে নামিয়ে মাটিতে রাখা হয়।
এছাড়া নিহত কোহিনুর বেগমের বাবার বাড়ির সদস্যরা অভিযোগ করেন, তাদের জামাই কওছার আলী সানা দ্বিতীয় বিয়ে করায় তারা প্রায় তাদের মেয়ে কোহিনুর বেগম কে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার জন্য ঝগড়া বিবাদ লেগেই রাখত এবং মানসিক ভাবে চাপ প্রয়োগ করত।
তারা আরও অভিযোগ করেন যে, তাদের মেয়ে কে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার নাটক করছে। তারা এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।
এলাকাবাসীরা জানান, কওছার আলী সানা প্রায় তার প্রথম স্ত্রী কোহিনুর বেগমের সাথে ঝগড়া বিবাদ লেগেই রাখত, যাতে কোহিনুর বেগম স্বামীর বাড়ি থেকে বিতাড়িত হতে পারে। তাছাড়া পুলিশ আসার আগেই তারা লাশ নিচে নামিয়ে রেখেছে যাতে সহজে কেউ বুঝতে না পারে যে এটা আত্মহত্যা।
এই ঘটনায় নিহত কোহিনুর বেগমের স্বামী কওছার আলী সানা ঘটনার পরপরই আত্মগোপনে রয়েছে।
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উৎঘাটন পূর্বক প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের নিকট আকুল প্রার্থনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল সহ ভুক্তোভোগীর পিতামাতা।