শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের দুর্ধর্ষ্য সন্ত্রাসী ও সীমান্ত এলাকার আতংক সাঈফুল্লাহ-কাশেম বাহিনী প্রধান সরদার সাইফুল্লাহ আল মামুন (৪৬)কে গ্রেপ্তার করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় সাড়ে সাতটার দিকে উপ-পরির্দশক আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে উপজেলার নুরনগর পোস্ট অফিস মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নুরনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুল্লাহ উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামের শুকোর আলী সরদারের ছেলে। সে ২০১৬ সালে উপজেলার ধুমঘাট গ্রামের প্রভাষক সফিকুল ইসলামের বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামী সে। এলাকার চিহ্নিত মামলাবাঁজ আবুল কাশেমের সহায়তায় তার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে সাইফুল্লাহ-কাশেম বাহিনী।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রগুলো জানায় এলাকায় জমি ও চিংড়িঘের দখল ও লুটতরাজসহ নানা অপকর্মে সাইফুল্লাহ জড়িত। উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাাদক গোলাম মোস্তফা বাংলার ভাগ্নে হওয়ার সুযোগ নিয়ে উঠতি বয়সীদের নিয়ে সে নিজস্ব বাহিনী গড়ে তুলেছে। সম্প্রতি উপজেলার সৈয়দালীপুর মৌজার প্রায় ৯০ বিঘা আয়তনের একটি চিংড়িঘের মালিকের কাছে চাঁদা দাবি করে সে। এঘটনায় এলাকাবাসী ও চিংড়িঘের মালিকরা সাইফুল্লা ও তার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষার্থে এলাকায় মানববন্ধন করে।
এমনকি তার অত্যাচার নির্যাতন থেকে বাঁচতে সম্প্রতি সেনাবাহিনীর কাছেও লিখিত আবেদন করে আলমগীর হোসেন নামে আরও এক জমির মালিক।স্থানীয়রা জানান শুরুতে আবুল কাশেম এলাকার মানুষের নামে মিথ্যা ও হয়রানীমুলক মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে সেই মামলার সুত্র ধরে সাইফুল্লাহ লোকজন নিয়ে সেই জমি দখলের চেষ্টা চালায়। এভাবে তারা গোটা নুরনগর ও রমজাননগরসহ আশপাশের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। স্থানীয়রা আরও জানায় সাইফুল্লাহ মাঠ দখরের কাজ আর আবুল কাশেম প্রশাসন ও আদালত পাড়ায় দৌড়ঝাঁপ করে। একইভাবে পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ‘ঘুষ’ দেয়ার কথা বলে প্রায় দুই বছর পুর্বে আবুল কাশেম রামজীবনপুরের এক ব্যক্তির থেকে সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে কথিত মানবাধিকার সংগঠনের নেতার সহায়তায় সেই টাকা আবুল কাশেম ও তার বাহিনীর অপরাপর সদস্যরা ‘হজম’ করে দেন।শ্যামনগর থানার ওসি (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান সাইফুল্লাহকে গ্রেপ্তারের পর বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।