পরিবারে ছিল মোট চারটি হাতি। এর মধ্যে ছিল দুটি শিশু। খামারিদের পেতে রাখা বৈদ্যুতিক বেড়ার সংস্পর্শে এসে মারা গেল পরিবারের সব হাতি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের কোদাগু জেলায়।
হাতিদের থেকে ফসল রক্ষার জন্য খামারের চারপাশে কাঠের বেড়ার সঙ্গে উচ্চমাত্রার বিদ্যুৎ পরিবাহী তার সংযুক্ত করে রাখে কর্ণাটকের খামারিরা। তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই ওই চার হাতির মৃত্যু হয় বলে ধারণা করছেন রাজ্য পুলিশের এক কর্মকর্তা।
ভারতের আইন অনুযায়ী, বৈদ্যুতিক তার মাটি থেকে কমপক্ষে ২০ ফুট ওপরে থাকতে হবে। তবে কর্ণাটকের খামারিরা সে নিয়ম মানে না। ফলে এ ধরনের ঘটনায় হাতি মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত কয়েক বছরেই কমপক্ষে ২০০টি হাতি মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
২০১২ সালে কর্ণাটকে হাতি মৃত্যুর ওপরে একটি জরিপ চালায় সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। জরিপে দেখা যায়, বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে পাঁচ বছরে মৃত্যু হয় ৭৮টি হাতির। যা কি না চোরাশিকারীদের হাতে মৃত্যু হওয়া হাতির চেয়েও বেশি।
এর আগের বছর ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্ণাটকে হাতি মৃত্যুর হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে বিদ্যুতের তার মাটি থেকে ওপরে স্থাপনের জন্য বলা হয়। এ ছাড়া বিদ্যুৎস্পৃষ্টতা রোধের জন্য তারের এক প্রান্ত মাটিতে পুঁতে রাখারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু সেসব আদেশ কানেই তোলেনি খামারিরা।