নিজস্ব প্রতিবেদক : ইজারার চুক্তি ভঙ্গ করে কালিগঞ্জের কুলতলী খেয়াঘাটে বাঁশের স্যাঁকো নির্মাণের অপচেষ্টার প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের গোবিন্দকাটি বেড়িবাঁধের পাশে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
দক্ষিণশ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রিয়াজউদ্দিন, মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী, আনন্দ গাইন, পঙ্কজ সরকার, দীলিপ সরকার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কাকশিয়ালী নদীর তীরে গোবিন্দকাটি, টোনা বাঁশদহা, ঘোজাসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ চিংড়ি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। নদীর তলদেশে বাঁশ পুতে স্যাঁকো নির্মাণের ফলে পলি জমে তলদেশ উঁচু হয়ে নদী ভরাট হয়ে যাবে। বন্ধ হবে জোঁয়ার ভাটা। ফলে মাছ চাষ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই যে কোন মূল্যে নদীর নাব্যতা বজায় রাখা প্রয়োজন। অথচ ৩০ ফুট গভীর খরস্রোতা ওই নদী মজা(মৃত) দেখিয়ে কুলতলী খেয়াঘাটের ইজারা গ্রহীতা জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো: আব্দুল মান্নান সেখানে বাঁশের স্যাঁকো তৈরি করার চেষ্টা করছেন। নিয়ম নীতি উপক্ষো করে তাকে স্যাঁকো নির্মাণে সহায়তার জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আনম মঈনুল ইসলাম।
তারা আরো বলেন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গোবিন্দকাটিসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ প্রায় শতভাগ শিক্ষিত। এখানে দীর্ঘদিন ধরে চোর ডাকাতের উপদ্রব নেই। কুলতলীতে স্যাঁকো বা সেতু নির্মাণ করা হলে তারালীর পার থেকে চোর, ডাকাতসহ বিভিন্ন অপরাধীরা সহজে এ এলাকায় ঢুকতে পারবে। ফলে পরিবেশ নষ্ট হবে। তারা কুলতলীতে স্যাঁকো নির্মাণ না করে।
পূর্ববর্তী পোস্ট