বরিশালের বানারীপাড়ার বেতাল গ্রামে টেম্পো চালক স্বামীকে আটকে রেখে তার নববিবাহিত স্ত্রীকে ধর্ষণ মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুমন হোসেন মোল্লা।
সোমবার দুপুরে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন। এদিকে ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পদ থেকে সুমন হোসেন মোল্লাকে বহিস্কার করা হয়েছে।
এর আগে গত রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর কালীবাড়ি রোডের এক আওয়ামী লীগ নেতার বাসা থেকে ধর্ষক ছাত্রলীগ নেতা সুমন মোল্লাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। সুমন বানারীপাড়ার বেতাল গ্রামের মৃত খবির উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
গত শনিবার রাতে ১ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় বেতাল গ্রামে টেম্পো চালক স্বামী মো. সেলিমকে রাতভর আটকে রেখে তার নববিবাহীতা স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগ নেতা সুমনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গত রবিবার ধর্ষিতার স্বামী মো. সেলিম বাদী হয়ে সুমনকে প্রধান এবং অজ্ঞাতনামা ৪/৫জনকে আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই রাতেই নগরীর কালীবাড়ি রোডে এক আওয়ামী লীগ নেতার বাসা থেকে প্রধান অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সুমনকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল তাকে ওই মামলায় বরিশালের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। পরে আদালতের বিচারক সিহাবুল ইসলামের কাছে ধর্ষণের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সুমন। এরপর আদালত সুমনকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
এদিকে ধর্ষন মামলার আসামী হওয়ায় সুমন হোসেন মোল্লাকে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সংগঠনের বরিশাল জেলা কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত রবিবার রাতেই সুমনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়।
ছাত্রলীগ কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি সোহাগ বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সংগঠনের জেলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রবিবার রাতেই বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ থেকে সুমন হোসেন মোল্লাকে বহিস্কার করা হয়েছে।