ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় বদলা হিসেবে কিশোরীকে জনসমক্ষে গণধর্ষণের নির্দেশ দিল গ্রাম-পঞ্চায়েত। আর সেই নির্দেশ পাওয়ার পর গ্রাম-পঞ্চায়েতের সদস্য, পিতা-মাতা ও পরিবারের লোকজনের সামনেই গণধর্ষণের শিকার হলো কিশোরী!
ন্যক্কারজনক এই ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের মোজাফফরাবাদ মুলতানে। এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
মোজাফফরাবাদের পুলিশ কর্মকর্তা আল্লাহ বকসের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, চলতি মাসের শুরুতে মুলতানের এক ব্যক্তি জিগরার (গ্রাম-পঞ্চায়েত) কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর ছোট বোন এক আত্মীয়দের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর পরই পঞ্চায়েতের সদস্যরা সালিশে বসেন এবং শাস্তি হিসেবে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা ওই যুবকের কিশোরী বোনকে জনসমক্ষে ধর্ষণের নির্দেশ দেন।
পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই কিশোরীকে পঞ্চায়েতের সদস্য ও তার পরিবারের লোকজনের সামনে গণধর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনার পর ওই দুই কিশোরীর মা স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ করেন।
আহসান ইউনুস নামের পুলিশের আরেক কর্মকর্তা বলেন, প্রথমে যে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে তার বয়স ১২-১৪ বছর হবে। আর বদলা হিসেবে যে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে তার বয়স ১৬-১৭ বছর হবে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জিরগা (গ্রাম-পঞ্চায়েত) সাধারণ স্থানীয় মুরব্বিদের নিয়ে গঠিত হয়ে থাকে।
পুলিশ বলছে, ওই দুই পরিবারের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে।
গ্রাম-পঞ্চায়েত এমন নির্দেশ দিয়েছে বলা হলেও বিবিসির সূত্র বলছে, আসলে নির্দেশদাতা ওই দলটি দুই পরিবারের সমন্বয়েই গঠিত হয়েছিল।
এর আগে ২০১২ সালে একই রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল পাকিস্তানে। ছোট ভাই মাঝবয়সী এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক করায় ২৮ বছরের তরুণী মুক্তার মাইকে গণধর্ষণের নির্দেশ দেয় পঞ্চায়েত। সেই মুক্তার মাই এখন একজন বিখ্যাত নারী অধিকারকর্মী।