ঐহিত্যবাহী দুই দলের লড়াইয়ে ফল এনে দিল রুবেল মিয়ার যোগ করা সময়ের গোল। মোহামেডান ক্রীড়া চক্রকে একমাত্র গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে জয়ে ফিরল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার আক্রমণে এগিয়ে ছিল আবাহনী। ২২তম মিনিটে এমেকা ডারলিংটনের লাফিয়ে উঠে করা হেড লক্ষ্যে থাকেনি। একটু পর ওয়ালী ফয়সালের কর্নার থেকে বল ফিস্ট করে ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মোহামেডানের ত্রাতা গোলরক্ষক মামুন খান।
এরপর সতীর্থদের সঙ্গে মোহামেডান গোলরক্ষকের জার্সি এক হয়ে যাওয়ার কারণে কিছুক্ষণের জন্য খেলা বন্ধ রাখেন রেফারি।
২৭তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে রুবেল মিয়া দ্রুত আক্রমণে উঠলেও ডিফেন্ডারদের প্রতিরোধ ভাঙতে পারেননি। গ্যালারিতে আসা আবাহনী সমর্থকদের হতাশা আরও বাড়ে ৩৮তম মিনিটে এমেকার হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে।
৫৩তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে রুবেলের নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। নয় মিনিট পর সামাদ ইউসুফের দূরপাল্লার জোরালো শট ফেরান মামুন।
৭১তম মিনিটে দুর্ভাগ্যের শিকার আবাহনী। রুবেলের ক্রসে এমেকার হেড বল ক্রসবারে লাগে।
৯০তম মিনিটে অনিক হোসেনের ক্রসে কিংসলে চিগোজি পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলে গোলের সেরা সুযোগটি নষ্ট হয় মোহামেডানের।
এরপরই যোগ করা সময়ে রুবেলের গোল। নাবীব নেওয়াজ জীবনের বাড়ানো বল ধরে ডান দিক থেকে এই ফরোয়ার্ডের শটে পরাস্ত হন মামুন।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এ নিয়ে দ্বিতীয় জয় পেলো আবাহনী। সাইফ স্পোর্টিংকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে লিগ শুরু করা দলটি দ্বিতীয় ম্যাচে ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে হারে ১-০ গোলে। অন্যদিকে টানা তিন ম্যাচ হারলো মোহামেডান।
সোমবার প্রথম ম্যাচে আফিজ ওলাওলে ওলাডিপো ও তৌহিদুল আলম সবুজের গোলে বিজেএমসিকে ২-০ ব্যবধানে হারায় চট্টগ্রাম আবাহনী।
পূর্ববর্তী পোস্ট