অনেকেই আছেন যাঁরা খাবার নিয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষা করতে ভালবাসেন। নতুন নতুন খাবার খেয়ে দেখতে রান্না করতে পছন্দ করেন। তা সে অভ্যাস মন্দ নয়। কিন্তু এই ধরনের পরীক্ষা নিরিক্ষার কারনে অনেক সময় সমস্যাও হতে পারে।
আবার অনেক সময় খাবারটি পরিচিত হলেও খাবারের ধরণের কারনেও সমস্যা হতে পারে। আবার এমন অনেক খাবার রয়েছে, যা লোভনীয়। মার্জিত পরিমানে খেলে কোনও সমস্যাও হয় না। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমানে খাওয়া হলে তা সমস্যা তো তৈরি করেই, এমনকী কিছু কিছু সময়ে তা প্রাণঘাতীও হতে পারে। বিশ্বের এমনই প্রাণঘাতী কিছু খাবারের তালিকা দেখে নিন-
– কাঁচা কাজুবাদামঃ কাজুবাদামের নাম শুনে অনেকেই হয়ত চমকে উঠতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁচা কাজু বাদামে অ্যালার্জির সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর যদি বেশি পরিমানে কাঁচা কাজুবাদাম খাওয়া হয় তাহলে তা প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে।
– জংলি মাসরুমঃ মাসরুম সাধারণত অনেক রকমের হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকারক মাসরুম হয় জংলি মাসরুম। অনেকসময় এই ধরণের মাসরুমের এক কামড়ও খুব সাংঘাতিক হতে পারে। এক কামড়ে বমি বমি ভাব হতে পারে। এমনকী বেশি পরিমানে খেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
– ফুগু মাছঃ ফুগু মাছ যা বিশ্বে পাফার মাছ নামেও পরিচিত। যদি এই মাছ ভাল করে রান্না করা না হয়ে থাকে তাহলে তার জন্য মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
– স্প্রাউটঃ জার্মানিতে দেখা গিয়েছে, স্প্রাউটেই কোলি থাকে। যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। এই কোলি বহু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে মৃত্যুর কারণ হয়েছে। অনেকক্ষেত্রে এই স্প্রাউট দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার কারণও হয়েছে।
– অ্যাকিঃ অ্যাকি একধরণের ফল যা জ্যামাইকাতে পাওয়া যায়। এই ফল বীজ বের করে শউধু শাঁসটুকুই খেতে হয়। কারণ এই ফলের বীজে এমন বিষাক্ত উপকরণ আছে যা শরীরের ভয়ানক ক্ষতি করে।
– কাঁচা দুধঃ কাঁচা দুধেই কোলির পরিমাণ যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এছাড়াও কাঁচা দুধে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া থাকে যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।
– স্টার ফুড/কামরাঙ্গাঃ স্টার ফুড সুস্বাদু হলেও তা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষ করে তা কিডনির পক্ষে আরও বেশি ক্ষতিকর।
– বাদামঃ অনেকেই জানেন না বাদামে অ্যালার্জির উপকরণ প্রচুর পরিমাণে থাকে। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা থাকে। তাদের ক্ষেত্রে এই বাদাম প্রাণঘাতী হতে পারে। সূত্রঃ এমএসএন।