মীর খায়রুল আলম: দেবহাটা উপজেলার প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু এলাকা জুড়ে অন্ধকারে নিমজ্জিত, প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ও বৈদ্যুতিক বাতি থাকার সত্বেও বাতি জ্বলে না ৩ মাস। দেবহাটা উপজেলার মোট ৩৫ টির বেশি ল্যাম্পপোষ্ট গুলোতে তার ও বাল্ব অক্ষত থাকলেও সামান্য এুটিতে ৩ মাসের বেশি সময় ধরে আঁধারে রয়েছে গোটা উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র বিভিন্ন দপ্তরসহ গোটা প্রাশাসনিক কেন্দ্র বিন্দুটি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাতি না জ্বলার কারনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা পরিষদ, এলজিইডি, প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তর, সোনালী ব্যাংক, উপজেলা ডিজিটাল তথ্য ও সেবা কেন্দ্র, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, হিসাবরক্ষণ অফিস, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, উপজেলা পল্লী দারিদ্র বিমোচন, নির্বাচন সার্ভার, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, একটি বাড়ি একটি খামারসহ অতি গুরুত্বপূর্ণ অফিস গুলোর মূল্যবান ফাইল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, অধুনিক যন্ত্রপাতি চুরি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। যাতে সরকারি সম্পত্তির অনেক ক্ষতির সম্ভবনা বিরাজ করছে। দীর্ঘ ৩ মাসের বেশি সময় ধরে উক্ত ল্যাম্পপোষ্ট গুলোর বাতি জ্বলছে না এমন অভিযোগের ভীত্তিতে গত শনিবার রাতে সরেজমিনে দেখা মেলে বাস্তবচিত্র। স্থানীয়রা জানায় উপজেলায় বিদ্যুতায়নের পর থেকে উপজেলার সদরের প্রধান ফটক, প্রধান সড়ক, বিভিন্ন গ্র“রুত্বপূর্ণ অফিস সংলগ্ন, উপজেলা কোয়াটারসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসের আওতায় এলাকাগুলোতে সকলের চলাচল ও রাতের পাহারার স্বার্থে ল্যাম্পপোষ্ট দেওয়া হয়। কিন্তু গত রমজানের পূর্ব থেকে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেননি কর্তৃপক্ষ। তবে অত্যান্ত প্রয়োজনীয় এসব বাতিগুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসের নিয়ন্ত্রে থাকা দায়িত্বরত কিছু অসাধু কর্মচারি যারা এটি দেখাশুনা করেন। কিন্তু এ উৎসের জন্য যা বরাদ্দ থাকে তা নিজেদের পকেটে চলে যায়। যাতে করে সামান্য ক্রটি হলে মেরামত করা হয় না। ফলে বড় কোন দূর্ঘটনা ছাড়া লাইনে কাজ করা হয় না। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের রাতে নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ল্যাম্পপোষ্ট গুলোতে বাতি না জ্বলায় আমরা খুব ঝুঁকি ও ভয়ে ভয়ে রাতের প্রতিটা সময় পার করছি। না জানি কখন কোন দূর্ঘটনা ঘটে কে যানে। তাছাড়া সাধারণ মানুষের রাতে চলাচলের ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। ভয়ে ভয়ে উপজেলা জামে মসজিদে আসা মুসল্লীরা সাপ ও বিষাক্ত পোকামাকড়ের ভয়ে নামাজ পড়তে আসতে হচ্ছে। এঅবস্থায় উপজেলার সচেতন মহল জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট