রয়েছে রান্নায় দারুচিনির বহুল ব্যবহার। প্রায় সবাই রান্নার সময় এই মসলা ব্যবহার করে থাকেন। দারুচিনিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং কয়েক ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল। দারুচিনিতে রক্তের শর্করার রোধক সহ উন্নত অসাধারণ ঔষধি গুণাবলী রয়েছে যা , প্রদাহ কমাতে এবং স্নায়বিক স্বাস্থ্য উন্নীত করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও দারুচিনির অনেকে গুণাবলী রয়েছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে-
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণঃ
টাইপ-টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুচিনি খুব উপকারি। কারণ, এটি রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও দারুচিনি ব্লাডার ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণঃ
দেহের রক্ত তরল থাকতে সাহায্য করে দারুচিনি। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ প্রায় ১০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে দারুচিনি। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ব্যথা কমায়ঃ
ব্যাথা কমাতে দারুচিনি ও মধু দারুন কাজ করে । হাড়ের জোড়ায় ব্যথা হলে হাল্কা গরম পানিতে এক চামচ মধু এবং দারুচিনি গুড়ো মিশান এবং যে স্থানে ব্যাথা সে স্থানে আস্তে আস্তে মালিশ করুন। ২-৩ বার মালিশ করলেই ব্যাথা কমবে।
ক্ষত সারায়ঃ
বিশ্বের সেরা ৭ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় রয়েছে দারুচিনি। শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষত সারিয়ে তুলতে এই মশলা কার্যকর।
ক্যান্সার প্রতিরোধকঃ
গ্যাস্ট্রিক আলসার, মেলানোমা বা ত্বকের মেলানিন কোষ মিলে যে টিউমার হয়, তার সম্ভাবনা কমায় দারুচিনি। লিউকোমিয়া ও লিমফোমা ক্যানসারের কোষগুলির প্রভাব কমায়।
খাদ্য-বিষক্রিয়া রোধঃ
পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস দমন করে দারুচিনি। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসাবে কাজ করে এই দারুচিনি। দারুচিনি ও মধু পেটে ব্যথা কমায় ও অ্যাসিডিটি দূর করে। রাতে ঘুমনোর আগে দারুচিনির সঙ্গে হরীতকীর গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে পেট পরিষ্কার হয়। সূত্রঃ হেলথ লাইন।