দুদিন আগেই বোমাটা ফাটিয়েছিলেন নেইমার। ঘরের মাঠে তুলুজের বিপক্ষে ২ গোলের স্মরণীয় অভিষেকের পর বার্সেলোনার বোর্ড অব ডিরেক্টরদের দিকে তির ছুড়েছিলেন। এমনও বলেছিলেন, বার্সায় তাঁর সাবেক সতীর্থরা কেউ নাকি সুখে নেই। ভীষণ চাপে থাকা বার্সার ক্লাব কর্তারা পাল্টা তির ছুড়তে একদমই দেরি করেননি। তাঁরা চুক্তিভঙ্গের অভিযোগে মামলা ঠুকে দিয়েছেন নেইমারের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনায় নেইমারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছে পিএসজি।
পিএসজি তাদের অফিশিয়াল বিবৃতিতে বলেছে, ‘নেইমার জুনিয়রের মতো, প্যারিস সেন্ট জার্মেই আবারও জানাচ্ছে, ক্লাব সব সময় যেকোনো চুক্তির নিয়মকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছে। বার্সেলোনার এই আচরণে আমরা বিস্মিত ও মর্মাহত।’
দলবদলের শুরু থেকেই সাবধানী ভঙ্গিতে কথা বলছিলেন নেইমার। তবে পিএসজির হয়ে থিতু হওয়ার পর হুট করে বার্সা বোর্ডের বিরুদ্ধে কিছু জ্বালাময়ী মন্তব্য করেন। ফরাসি লিগে গত ম্যাচে ২ গোল করে আরও ৪টি গোলে ভূমিকা রেখে আসল তোপ দাগিয়েছেন ৯০ মিনিটের পর। ম্যাচে শেষের পর তাৎক্ষণিক টিভি সাক্ষাৎকারে যা বলেন, তার সারমর্ম, বার্সা এখন যারা চালাচ্ছেন, তাঁদের কারও ক্লাব ঠিকমতো চালানোর যোগ্যতা নেই। এই বোর্ড কর্মকর্তাদের কারণেই খেলোয়াড়েরা অসুখী। ব্রাজিল অধিনায়কের মন্তব্য, ‘এখানে এমন লোকেরা দায়িত্বে আছেন, যাঁদের থাকা উচিত নয়। বার্সার প্রাপ্য এর চেয়ে বেশি।’
বার্সার কর্তারা এমনিতেই আছেন নানামুখী চাপে। নেইমারের চলে যাওয়া, মেসির এখনো চুক্তি নবায়ন না করা, বার্সার সাবেক সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য, কুতিনহো ও ডেম্বেলেকে দলে টানতে ব্যর্থ হওয়া…। এর মধ্যে নেইমারের তির। বার্সার মামলাটি এরই পাল্টা জবাব কি না, কে জানে। সাবেক চাকরিদাতাদের সঙ্গে সম্পর্কটা আদালতে গড়াল যেদিন, সেদিনই বার্সেলোনায় উড়ে এসে নেইমার চুটিয়ে আড্ডা দিয়েছেন মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে। এই বার্তাও দিয়েছেন, সাবেক সতীর্থদের সঙ্গে বন্ধুত্বটা ‘সাবেক’ হয়ে যায়নি।
সূত্র: এএফপি।