হাসান হাদী : সাতক্ষীরা শহর এবং গ্রামাঞ্চলে এখন ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত যুবকরা। সবত্র ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলছে শিক্ষার্থীরা। সাতক্ষীরার মাটি থেকে তৈরি হয়েছে সৌম্য সরকার ও মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়াও রয়েছে আরো অনেক ক্রিকেট তারকা। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মোস্তাফিজ আর সৌম্য সরকারের ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড, পোস্টার ও ব্যানার ব্যবহার করে জমজমাট ক্রিকেট কোচিং এর বাণিজ্য করে যাচ্ছেন মো. আলতাফ হোসেন।
সুন্দরবন ক্রিকেট একাডেমির পরিচালক সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি অবৈধভাবে দখল করে নেট দিয়ে ঘিরে ফেলায় সরকারি এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও তাদের নিজস্ব মাঠে খেলা করার সুযোগ পাচ্ছে না। এছাড়া মাঠটি দখল হওয়ায় স্থানীয় ছেলে মেয়েরা এই মাঠে খেলতে পারছে না। এদিকে সুন্দরবন ক্রিকেট একাডেমীর পরিচালক আলতাফ হোসেন সরকারি বিদ্যালয়ের এ মাঠটিকে ব্যবহার করে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় অভিভাবক ও শেখ শাখাওয়াতুল করিম পিটুলসহ অনেকে জানান, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠটি কিসের জোরে দখল করে তার একাডেমি পরিচালনা করছে, এটা আমাদের বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের কিছু অসাধু শিক্ষক আর্থিক সুবিধা ভোগ করে মাঠটি ব্যবহার করার সুযোগ দিচ্ছেন বলে জানান তারা।
এব্যাপারে সুন্দরবন ক্রিকেট একাডেমীর পরিচালক আলতাফ হোসেনের সেলফোনে ফোন দিয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠটি ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোনটির সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক মো. আব্দুর রউফ জানান, মাঠটি উদ্ধারের জন্য আমরা দুইবার জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি। আমরা চাই মাঠটি আমাদের শিক্ষার্থীরা ফিরে পাক।
সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা খাতুন জানান, মাঠটি ব্যবহারের কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। সুন্দরবন ক্রিকেট একাডেমীর পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন কিভাবে মাঠটি ব্যবহার করছে তা আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে মাঠ ব্যবহারের কোন লিখিত বা কোন মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সচেতন মহলের দাবি বিদ্যালয়ের মাঠটি বেদখল থেকে রক্ষা করে শিক্ষার্থীদের খেলার পরিবেশ অবিলম্বে ফিরিয়ে আনা হোক।
পূর্ববর্তী পোস্ট