যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মূল ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় আরমা। অতি বর্ষণে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে মিয়ামি, রাস্তাঘাট থেকে বাড়িঘর পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। ফ্লোরিডার নেপলস ও মার্কো আইল্যাণ্ডে স্থানীয় সময় রবিবার বিকালে ৩ নম্বর ক্যাটাগরির ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আছড়ে পড়ে এ ঝড়। এসময় দ্বিতীয়বারের মতো ভূমিধস হয় সেখানে। এর ফলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে অন্তত বিশ লাখ মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট দুর্ঘটনা থেকে এ পর্যন্ত চার ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর আগে ফ্লোরিডার মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ প্রায় ৬৫ লাখ মানুষকে অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছিল। ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলের বিভিন্ন স্থানে প্রবল বাতাসে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে পানি প্রায় ১০ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দেশটির জাতীয় হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ৯টায় ফ্লোরিডা কিজ-এ ৪ নম্বর ক্যাটাগরির ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার গতিতে আঘাতে হানে আরমা। এরপর তা ফ্লোরিডার টাম্পা ও সেন্ট পিটার্সবুগের দিকে এগিয়ে যায়। আরমার আঘাতে ফ্লোরিডার বিশাল এলাকাজুড়ে টর্নেডো বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাসে আশঙ্কা করা হয়েছিল। জলোচ্ছ্বাসের কারণে সমুদ্রের পানি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে এখন তিন ফুট পর্যন্ত বেশি রয়েছে। সেখানে টের্নেডো সতকর্তা জারি করা হয়েছে।
ফ্লোরিডার দিকে ধেয়ে আসার আগে আরমা ক্যারাবিয়ান অঞ্চলে বেশ কয়েকটি দ্বীপে আঘাত হানে। এ পর্যন্ত আক্রান্ত এলায় প্রায় ২৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফেডারেল এমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট অ্যাজেন্সির প্রশাসক ব্রক লং এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জলোচ্ছ্বাসের ফলে অনেক মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাঁচটি রাজ্যের গভর্নরদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ফ্লোরিডার পাশাপাশি আলাবামা, জর্জিয়া, সাউথ ক্যারোলিনা ও টেনেসির গভর্নরদের সঙ্গে ট্রাম্প কথা বলেছেন বলে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন।