আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনির অধিকাংশ এলাকার পাউবো’র বিভিন্ন বেড়ীবাঁধের অবস্থা আশংকাজনক। যে কোন মুহুর্তে ভেঙে হয়ে যেতে পারে এসব হুমকিগ্রস্থ বাঁধগুলি। বাঁধ সংস্কারে পাউবোর কর্মকতাদের গড়িমসির কারনে ইতিমধ্যেই ভাঙ্গনের কবলে পতিত হয়েছে প্রতাপনগর ইউনিয়নের হরিষখালী বেড়ী বাধ। তলিয়ে গেছে শত শত মৎস্যঘের ও ফসলী জমি। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। এদিকে সদরের দয়ারঘাট-জেলেখালী ওয়াপদা বাঁধে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। আট ফুট ভেড়িবাঁধের অবশিষ্ট আছে মাত্র দেড়ফুট । সরেজমিনে দেখাগেছে, সদরের জেলেখালী-দয়ারঘাট গ্রামে সুন্দরবন হ্যাচারী সংলগ্ন এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর ওয়াপদা ভেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। কার্পেট দিয়ে ঢাকা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে দেড়-দু’ফুট করে অবশিষ্ট আছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যে কোন জোয়ারে ভেঙ্গে যাওয়ার কথা ভেবে স্থানীয় মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এসকল বাঁধ নিয়ে পাউবো’র ভূমিকা নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগের শেষ নেই। রবিবার ভাঙ্গন এলাকা উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম খান, আশাশুনি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সম সেলিম রেজা মিলন পরিদর্শন করেছেন। তবে অভিযোগ পাউবোর কর্মকর্তাদের উপর দীর্ঘদিন এসকল হুমকিগ্রস্ত এলাকার বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করতেও আসেনি। প্লাবনের আশংকায় আতঙ্কিত হয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন এলাকাবাসি। ভাঙ্গন এলাকা ইতিপূর্বে অনেক জেলা প্রশাসক সহ সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ভাঙ্গন পরিদর্শন করে অতি দ্রুত বাঁধ সংস্কার সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আশ্বাস দিলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থায়ী বাসিন্দারা। সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান স.ম সেলিম রেজা মিলন জানান ইতিমধ্যে বাঁধ রক্ষার কাজ শুরু করে দিয়েছি। চেষ্টাকরে যাচ্ছি, জনগণকে সাথে নিয়ে যে কোন মূল্যে বাধ রক্ষা করতে। পাউবোর কর্মকর্তা সুনীল ভক্ত জানান, আগামী কাল থেকে বাধের কাজ শুরু হবে। সময় মত বাধ সংস্কার না করার কারণে মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় বলে স্থায়ী বাসিন্দাদের অভিযোগের বিষয়টি জানতে চাইলে উক্ত কর্মকর্তার বলেন, আমাদের কি করার আছে ফান্ডে কোন টাকা নাই। বিষয়টি আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বার বার অবগিত করেছি। এ ব্যাপারে আতঙ্কিত এলাকাবাসী ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাঁধটি মেরামত ও স্থায়ী সমাধানের জন্য আশু ব্যবস্থা নিতে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
আশাশুনিতে ওয়াপদার বাঁধে ফাটল: ফান্ডে কোন টাকা নাই- পাউবো’র কর্মকর্তা
পূর্ববর্তী পোস্ট