ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপর ইউনিয়নের বাগ বসন্তপুর সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তারিকুল ইসলাম মন্টু (৪৫) এর বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীদের শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে যেয়ে অভিভাবক ও ভুক্তভোগী ১৫ জন শিক্ষার্থীদের কাছে জানা যায় সহকারী শিক্ষক মন্টু দীর্ঘ দিন যাবৎ ৫ম শ্রেণির একাধীক ছাত্রীদেরকে শ্লীলতাহানি করে আসছিল কিন্তু ভয়ে কোন ছাত্রী কাউকে বলতে সাহস পায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন ৫ জন ছাত্রী বলেন মন্টু স্যার আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। আমরা ভয়ে কাউকে বলতে পারিনা। গত দুই সপ্তাহ আগে গণপতি গ্রামের ৫ম শেণির এক শিক্ষার্থীকে মন্টু শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করলে সেই শিক্ষার্থী বাড়িতে যেয়ে তার অভিভাবকদের জানায়। তারপর ওই শিক্ষার্থীর পিতা স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষককে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানায়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংসার জন্য ওই স্কুল ছাত্রীর পিতাকে নিয়ে গণপতি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা জামাত আলী ৫০ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে গত সোমবার বিষয়টি নিরসন করে দেয়। এরপর বেরিয়ে আসতে থাকে মন্টুর বিরুদ্ধে একের পর এক ছাত্রীদের শ্লীলতাহানীর অভিযোগ।একাধিক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাংবদিকদের অকাপটে বলেন এই সব অভিযোগের কথা। এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক তারিকুল ইসলাম মন্টু বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন আমি এখনো বিয়ে করিনি এজন্য বিভিন্ন সময় অনেকে অনেক কথা বলে।আমার বিরুদ্ধে যে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে সেটা সঠিক নয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন আমার স্কুলের ব্যাপার আমি বুঝবো এ নিয়ে অন্যদের মাথা ব্যাথার দরকার নেই। ওই লম্পট শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী এবং অভিভাবকবৃন্দ সহ এলাকার সচেতন মহল।